Thursday, 27 September 2012

স্কুল ফ্রেন্ড


বন্ধুর প্রতি আছে অনেক টান,
ভালোবাসে ক্রিকেট,শোনে ইংরেজী গান।
হয়না কারও প্রতি ক্ষীপ্ত,
দারুন ছেলে আমাদের দীপ্ত।

ছোট ছেলে,তবু কেউ করেনা হেলা,
ইঁচড়ামি করে কাটিয়ে দেয় সারাবেলা।
নাম তার পিয়াল,
আমাদের কাছে সে,গণিতের শিয়াল।

গোলগাল রিফাত,ডাকি মামা,
হাসি খুশি সদা,পরে নরমাল জামা।
পড়াশোনায় ভালো,দারুন খেলে ক্যারাম,
খুবি মিশুক সে,নেই কোন ব্যারাম।

ক্রিকেট মাঠে মারে শুধু ছয়,
মাঠ ছাড়ে,সাথে নিয়ে জয়।
লম্বা ছেলে,মনটা খুবই সাদা,
আর কেউ নয়,সে মোদের সাকিব দাদা।

দোষ করেও আমরা সাধু সাজি,
বিজ্ঞানমনষ্ক ছেলেটা কিন্তু খুবই নামাজি

বিনয় দেখে সবাই বলে বাহ্‌,
স্যালুট তোমায়,আয়াতুল্লাহ।

গোল মুখ,তাতে খোচা খোচা দাড়ি,
ক্রিকেট ভালো খেলে,তে্রোখাদিয়া তার বাড়ি।
রাগেনা কখনও,থাকে হাসি খুশি,
চিরচেনা রূপক বড়ই আত্মবিশ্বাসী।

গল্প হলো বেশ,
এবার করি শেষ।
তবে তার আগে বলি একটা কথা,
স্কুল শেষে বুঝি এখন,বন্ধুত্ব কী তা।

Wednesday, 26 September 2012

আলোকচিত্র


মোমের তৈরি বাতি,
ঘাসে বাড়ে চোখের জ্যোতি।
মেঘে মেঘে চলে আলোর খেলা,
কেটে যায় সারাবেলা।
নায়ক হতে চায় ছোট্ট খোকা,
আশে পাশে কত বিচিত্র পোকা।
আনমনে কি যেন ভাবে খুকি,
রঙ্গিন খাতায় করে আঁকিবুকি।
সুন্দর মুখ,চোখে লাজুক দৃষ্টি,
কনে সেজেছে,লাগছে দারুন মিষ্টি।
দালান,যেন রতন,
হোক সে নতুন,কিংবা পুরাতন।
চাঁদ হাসে বাঁকা হাসি,
ছবি তুলতে তাই বড্ড ভালোবাসি।

স্কুল ফ্রেন্ড


(আমার স্কুলের সব ফ্রেন্ডই আমার প্রিয়।তাই সবাইকে নিয়েই লিখতে ইচ্ছে করে।আপাতত কয়েকজনকে নিয়ে লিখলাম।বাকিদের নিয়েও লিখবো ইনশাল্লাহ)

পড়তে ভালো লাগেনা ভাই,
মনের সুখে তাই গীটার বাজায়।
খেলা,ফেসবুক ছাড়া নাই কোন কাম,
সুন্দর ছেলে,প্রমি তার নাম।


গোলগাল ছেলেটা আতিক,
ছবি তোলা তার বাতিক।
পরে ফুল হাতা শার্ট,সবাই ভাবে বেটা নন্দ,
আসলে তা না,আতিক সবার পছন্দ।
নাদুস নুদুস দেখতে,নাম ফাহিম,
সহজ সরল সে,ভালোবাসে নীল ডিম।
বুক ডন মারে রোজ,পাঁচ কিলো দৌড়ায়,
খেয়ে আর ঘুমিয়ে বুকের ছাতি ফুলায়।
মাসুম সাহেব ভদ্র ছেলে,
পোকার মত ঢুকে পড়ে,গল্পের বই পেলে।
মেয়ে থেকে সদা দূরে দশ হাত,
সারাদিন পড়ে আর খায়
ভাত
বিড়ালের মত চোখ,দেখতে সুন্দর,
ফাজিল সে এক মস্ত বান্দর।
হার মানে না,হয় তারই জিত,
অদ্বিতীয় সে অদিত।
একটা কথা থেকে গেছে জমা,
আমি বাদে,এরা কেউ পরেনা চশমা।
সবার সাথে আমার এতো অমিল,
তবু এরাই আমার ডানা,আমি হলাম চিল।
বন্ধু,তোরা ছিলি,তোরা আছিস,
কোন চিন্তা নেই আমার,এভাবেই যদি পাশে থাকিস।

Monday, 24 September 2012

কৌতুক


হাসান সাহেব আমার বন্ধু মানুষ।সেদিন বিকেলে বেড়াতে গেছিলাম তাঁর বাড়িতে।উনার বউকে দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম,ভাবি নাই?তখন তাঁর উত্তর,“আমি বউকে বলেছিলাম,রমজান মাস পবিত্র মাস।এই মাসে যেন সে কারও সাথে পরকীয়া না করে।তবে পরকীয়া বলে যে একটা শব্দ আছে,এটা যেন সে ভুলে না যায়,সেজন্যে প্রতিদিন সকালে আর বিকেলে তাকে পরকীয়া করার নির্দেশ দিয়েছি|”
বোকা পাবলিক এর সংগাঃবোকা পাবলিক হল তারা,যারা জানে যে,তারা গরু কিনলে,সেই গরু তাদেরকে গোবর ছাড়া আর কিছুই দিবেনা।এই কথা জানার পরেও তারা বাজারে যায় এবং কষ্ট করে পরবর্তী কয়েক বছর গোবর কুড়ানোর জন্যে গরু কিনে আনে।
পাদটীকাঃএই গরুরা নিজেরা না চরে বোকা পাবলিকদের রায়,তাদের দিয়ে নিজের গোবর পরিষ্কার করায় আর সমস্ত দুধ বাছুরকে খাওয়ায়।
উভয় সংকট কাকে বলে?
 
উত্তরঃউভয় সংকট হলো সেই অবস্থা যখন,একজন যাত্রী রাজশাহী থেকে ঢাকা যাবার শেষ বাসে উঠতে যাবেন,তখন তার প্রচণ্ড হাগু লাগলো।
১ম বন্ধুঃবল তো,টিকটিকি কী?
 
২য় বন্ধুঃটিকটিকি হলো সেই জীব যে,দেওয়াল আকড়ে পড়ে থাকে সারাজীবন।পোকা দেখলেই চোখ জ্বল জ্বল করে উঠে,খাওয়ার জন্যে ছুটে যায়।লেজ খসে পড়ে,আবার গজায়।এবার তুই বল তো,দুর্নীতিবাজ কে?
 
১ম বন্ধুঃদুর্নীতিবাজ হল সেই ব্যাক্তি যে,পদ আকড়ে পড়ে থাকে সারাজীবন।টাকা দেখলেই লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায়,দখল করতে ছুটে যায়।পদ হারায়,আবার ফিরে পায়।
৫।পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় ব্যাক্তি কে?
 উত্তরঃসারাদিন অভুক্ত থাকার পর যে কেবল আয়েশ করে খেতে বসবে এমন সময় খাবারের উপর টিকটিকি হাগু করে দিলো,সে।
৬।সবচেয়ে মজাদার আলোকচিত্র কোনটা?
 উত্তরঃকিছু ছেলে খুব মনোযোগ দিয়ে পিসির কীবোর্ডের বোতাম চাপছে,কিন্তু পিসিটি অফ করা আছে।

দর্পণ


(গল্পের কোন চরিত্রের সাথে লেখকের পরিচয় নাই।এটা লেখকের কল্পনা মাত্র।যদি কারও সাথে ঘটনাগুলো মিলে যায়,সেটা হবে কাকতালমাত্র।এর জন্যে লেখক দায়ী নন)

পড়ার টেবিলে ব্যস্ত মিমি।বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে,আর মোস্ট ইম্পর্টেন্ট প্রশ্নগুলো দেখছে।তার হাতে মোবাইল।না,সে পড়ছে না।মোবাইলে ছবি তুলছে উত্তরগুলোর।বরাবরের মত এবারও পরীক্ষা চলে আসলো।পড়া হয়নি একটুও।কেন যে শুভ বারবার ফোন দেয়?না,এতে মিমি বিরক্ত হয়না।খুব আনন্দ পায়।সেজন্যেইতো পড়া হয়না।ফোনে কথা বলতে বলতে সময় চলে যায়।ওদিকে আবার ফেসবুক।মিমির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই ফেসবুক।যাহোক,ফিজিক্স পরীক্ষা কাল।ইম্পর্টেন্ট প্রশ্নের উত্তর তোলা হয়ে গেছে।এবার কিছু সূত্র তুলেই শুতে যাবে,ভাবলো মিমি।বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গেল।আয়নায় নিজেকে দেখতে ভালো লাগে তার।নিজেকে আরও রূপবতী করে তোলার নানা ক্রিয়েটিভ চিন্তা মাথায় খেলা করেনিজেকে ভালো করে দেখছিলো মিমি।হঠাথ দেখলো,তার গালে একটা ব্রন।সে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো।ব্রনটা ছোট।এটাই ঝামেলা।এটা গেলে দেওয়ার উপায় নেই।সারা রাতে আস্তে আস্তে বড় হবে।সকালে ফুলে যাবে।উফ,কাল অত ছেলের সামনে ব্রন নিয়ে যাবে কিভাবে?এসব ভাবতে থাকলো।হঠাথ আয়নার ভেতর থেকে মিমির প্রতিবিম্ব ডেকে উঠলো-
বিম্বঃমিমি,এই মিমি
মিমিঃকে?কে তুমি?
বিম্বঃআমি ইমিম।কেমন আছো তুমি?
মিমিঃইমিম মানে?তুমিতো আমার প্রতিবিম্ব।তুমি কথা বলছো কীভাবে?
ইমিমঃনা,আমি ইমিম।কথা কীভাবে বলছি,এটা আমি জানিনা।যে আমাকে বলাচ্ছে সে জানে।যাহোক,কাল তো তোমার পরীক্ষা,তাই না?
মিমিঃহ্যাঁ।কিন্তু,তুমি এখানে এসেছো কেন?
ইমিমঃতোমার সাথে কথা বলতে।আমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না?
মিমিঃনা,মোটেও ভালো লাগছে না।আর আমি জানি,তুমি কেউ না,আমার মনের ভুল।
ইমিমঃনা,আমি ইমিম।আচ্ছা,তুমি গালের ব্রনটা নিয়ে খুব চিন্তিত,তাই না?
মিমিঃহ্যাঁ।কাল পরীক্ষা।অত ছেলে যখন আমাকে দেখবে,তখন গালে ব্রন থাকার জন্যে তারা কি ভাববে
…..ভাবতেই খারাপ লাগছে আমার।
ইমিমঃআশ্চর্য,তোমার খারাপ লাগে?
মিমিঃকেন লাগবে না?সব মানুষেরই খারাপ লাগার অনুভূতি থাকে।আমারও আছে।
ইমিমঃতোমার আর কীসে খারাপ লাগে,মিমি?
মিমিঃআপাতত এই ব্রনটা দেখতে।
ইমিমঃআর কিছু না?তুমি যে কাল নকল করে পরীক্ষা দিবে,এতে খারাপ লাগছে না?
মিমিঃনা।তবে এখন তোমার সাথে কথা বলতে খারাপ লাগছে।দূর হও।
ইমিমঃনকল করবে,এটাতে কেন খারাপ লাগছে না,মিমি?এটাতো চুরি করা।
মিমিঃজ্ঞান দিও না।আচ্ছা তুমি যাবেনা যখন,তখন আমিই যাচ্ছি।
মিমি বিছানায় চলে গেল।ইমিমের কথাগুলো মনে হতে লাগলো।মনে করতে চাচ্ছেনা,তবু মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে কে যেন পাশে থেকে বলছে,“ছুঁড়ি,তুই চোর,তুই চোর।”

পরদিন পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরলো মিমি।শুভ ফোন দিয়েছে।
শুভঃপরীক্ষা কেমন দিলা?
মিমিঃমোটামুটি।তুমি কেমন দিলা?
শুভঃআমি আজ পরীক্ষা দিতে যাইনি।এক ফ্রেন্ডের মা হসপিটালে।উনাকে দেখতে গেছিলাম।কী করছ তুমি?
মিমিঃকিছু না।জামাকাপড় ছাড়ছি।গোসল করে খাবো।
শুভ এই সময় এমন কিছু প্রশ্ন করলো যেগুলোর উত্তর মিমি দিতে পারবে,আমি লিখতে পারবো না।১৫ মিনিট কথা বলার পর মিমি গোসল করতে গেল।গোসল শেষে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গেল।হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে চুল আঁচড়াতে লাগলো।হঠাথ তার গতকালের কথা মনে হলো।কাল রাত্রে সে তার গালে ব্রন দেখেছিলো।কিন্তু সকালে উঠে দেখে,নেই।কিন্তু একি!আজ যে আরও একটা।বেশ বড়সড়।তখনই ইমিমের কণ্ঠ শোনা গেল-
ইমিমঃকী ভাবছো,মিমি?
মিমিঃআবার তুমি?
ইমিমঃহ্যাঁ আমি।কী ভাবছো,বলো না?
মিমিঃআচ্ছা শোনো।কারও সাথে শেয়ার করতে পারছিনা।তোমাকেই বলি।আমার গালে দু’টো ব্রন উঠেছে।আজ সকালেও ছিলো না।এখনই দেখছি।কাল রাতেও দেখেছিলাম।
ইমিমঃব্রন তোমার গালে না,আমার গালে দেখছো তুমি।
মিমিঃআরে হলো।আমি আর তুমিতো একই।
ইমিমঃনা,মিমি।আমি আর তুমি আলাদা।তুমি সুন্দর,আমি অতটা না,বলতে পারো কুথসিত।
মিমিঃআবার,সেই কথা।যাহোক,তুমি কেন এসেছো?
ইমিমঃতোমার সাথে গল্প করতে।
মিমিঃতোমার সাথে আমার কোন গল্প নাই।
ইমিমঃশুভ ছেলেটাকে তোমার এত ভালো লাগে কেন মিমি?কী আছে ওর মধ্যে?
মিমিঃবাজে বকো না।ভালো লাগার জন্যে কারও মাঝে কিছু থাকা লাগেনা।এটা মনের ব্যাপার।তোমার মন নাই।তুমি আমার প্রতিবিম্ব।
ইমিমঃআমি তোমার প্রতিবিম্ব না,মিমি।আর মনটাতো তোমারই।শুভ তো একটা বখাটে
তুমি ভালো করেই জানো,আজ এমনিতেই সে পরীক্ষা দিতে যায়নি।তার পড়া হয়নি,অবশ্য কখনই তা হয়না।
মিমিঃভালো কথা।এখন যাও তুমি।
ইমিমঃআচ্ছা,শুভকে আজ তুমি তোমার জামাকাপড় খোলার বর্ণনা দিলে কেন?
মিমিঃআমার ইচ্ছা,দিয়েছি।তোমার কী?
ইমিমঃনা,মিমি।তুমি নিজের ইচ্ছাতে দাওনি।তুমি বাধ্য হয়ে দিয়েছো।
মিমিঃমোটেও না।কে বাধ্য করবে আমাকে?
ইমিমঃশুভর প্রতি তোমার আসক্তি।এটাই তোমাকে বলতে বাধ্য করেছে।তুমি যখন বর্ণনা করছিলে,শুভ তঝন তোমাকে নগ্ন কল্পনা করছিলো।এটা তোমার বঝার কথা।কিন্তু,শুভর প্রতি তোমার প্রবল আসক্তিই সেটা তোমাকে বুঝতে দেয়নি।
মিমিঃউফ্
‌।বন্ধ করো এসব বাজে বকা।তোমাকে যেতে বলে লাভ নাই।আমিই যাচ্ছি।

কয়েকদিন পরের কথা।শুভ এখন নিয়মিত মিমির বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করে।শুভর প্রতি মিমির আকর্ষণ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।সেদিন প্রাইভেট পড়ে আসার পর শুভর সাথে দেখা।বিকেলবেলা।মিমি বাড়িতে না ঢুকে একটু গলির ভেতরের দিকে এগিয়ে গেলো শুভকে নিয়ে।তারপর রাশেদের বাসার পাশে দাঁড়ালো।এই রাশেদকেও মিমি প্রপোজ করেছিলো।তো,এই বাসার পাশে একটা প্রাচীরের আড়ালে দাঁড়ালো তারা।
শুভঃতোমাকে এই পাড়ার কেউ চেনেনা তো?
মিমিঃনা,কেউ চেনে না।
এরপর কিছু প্রেমালাপ।তারপর কিস্‌।
……….
বাসায় ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো মিমি।এখন,তার গালে তিনটি ব্রন দেখা যাচ্ছে।ওগুলো ফুলে যাচ্ছে।চেহারাতেও হাল্কা কালো আস্তরন পড়েছে।
ইমিমঃকী খবর,মিমি?
মিমিঃমন খারাপ।
ইমিমঃকেন মিমি?মন তো খারাপ হওয়ার কথা না।এখনই প্রিয় মানুষটার সাথে সময় কাটিয়ে আসলে।মন খারাপ কেন?
মিমিঃগালের ব্রন তিনটা নিয়ে চিন্তিত।
ইমিমঃওগুলো তোমার না,আমার।ঐ ব্রন তোমার হলে শুভ আজ তোমাকে কিস্‌ করতো না।অন্যদিন করতো।ওরা নারীর মন বোঝে না,রূপ বোঝে।
মিমিঃচুপ করো।ভালো লাগছে না শুনতে।
ইমিমঃআমি জানি সেটা।সত্য শুনতে তোম,আর ভালো লাগেনা।আচ্ছা,রাশেদকে প্রপোজের এক মাসের মধ্যেই শুভর সাথে এসব করা কি ঠিক হচ্ছে?
মিমিঃরাশেদ আমাকে ডিনাই করেছে।আমি কী করবো?
ইমিমঃতুমি অপেক্ষা করবে।তার পাশে থাকবে।
মিমিঃআমি থাকতে চেয়েছি।সে আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলতো না।
ইমিমঃকিন্তু এর পেছনে তো কারণও আছে।তুমি রাশেদকে অনেক মিথ্যে বলেছো।নিজেকে বড় করতে ছোট করেছো।ভালোবাসলে যাকে,এত সহলে কীভাবে ভুলে গেলে তাকে?
মিমিঃবাজে কথা ছাড়ো।প্রপোজ করার মানে এই না যে,তাকে আমি ভালোবাসি।
ইমিমঃতাহলে প্রপোজ করার মানে কী?
মিমিঃওটা একটা আবেগ।প্রবল আকর্ষণ।শারীরিক ও মানসিক,দু’টোই।
ইমিমঃশুভ তো তোমাকে প্রপোজ করেছিলো।তার ক্ষেত্রেও কি তাই?
মিমিঃনা,শুভ আমাকে ভালোবাসে।
ইমিমঃকীভাবে বুঝলে?শুধু কথা বলেই,স্টারে খাইয়ে আর কিস্‌ করলেই কি ভালোবাসা যায়?
মিমিঃউফ্‌।এত কিছু জানিনা।তুমি যাও।আমাকে একা থাকতে দাও।
ইমিমঃতুমিতো চিরদিনই একা মিমি।আর এভাবে থাকলে সবাই তোমার কাছে আসবে আর যাবে।তুমি একাই থেকে যাবে।
মিমি উঠে গেল।ছাদে গেল।দেখে রাশেদ বই পড়ছে।
………..

সেদিন সেমন্তী এসে মিমির কাছে রাশেদের খবর জানতে চায়লো।
মিমিঃরাশেদ একদিন আমাকে প্রপোজ করেছিলো।আমি ডিনাই করার পর থেকে তার সাথে ঠিকমতো কথা হয়নি।
সেমন্তীর কথাতে রাশেদের কথা মনে পড়লো।রাশেদ তাকে ফেসবুকে রিমুভ করেছে।তখনই মিমির মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো
সে রাশেদকে ছোট করার ব্যবস্থা করলো।কিন্তু তাতে হিতে বিপরীতই হলো।রাশেদ মেজাজ গরম করে মিমির সব ঘটনা প্রকাশ করে দিলো।মিমি প্রচণ্ড লজ্জা পেলো।সে বুঝতে পারছে,তার ফ্ল্যাটের মিতাও এটা জেনে গেছে।মন খারাপ করে মিমি আবার আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো।আজ ব্রনসংখ্যা আরও বেড়েছে।মিমি যখনই এরকম দেখে তখনই ইমিম আসে।আজও এসেছে।
ইমিমঃমন খারাপ,মিমি?
মিমিঃহ্যাঁ।
ইমিমঃকেন?রাশেদ সব ফাঁস করেছে,তাই?
মিমিঃও একটা আস্ত শয়তান।আমি কীভাবে এরকম একটা ছেলেকে প্রপোজ করলাম?
ইমিমঃতোমার পক্ষে প্রপোজ করাতো খুবি সাধারণ ব্যাপার,মিমি।সেই ক্লাস সিক্স থেকে তুমি প্রপোজ করছো,প্রপোজাল পাচ্ছো।
মিমিঃওসব কথা ছাড়ো।শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
ইমিমঃআর তুমি মিথ্যে বলে রাশেদকে ছোট করতে চাচ্ছিলে কেন?
মিমিঃআমি কখন মিথ্যা বললাম?
ইমিমঃকেন,সেমন্তীকে বল্লে,রাশেদ তোমাকে প্রপোজ করেছে?
মিমিঃএতে অপমানের কী আছে?প্রপোজ করলে কেউ ছোট হবে কেন?
ইমিমঃতাহলে সত্যটা বলতে পারলেনা কেন?কেন বললে না যে,তুমিই রাশেদকে প্রপোজ করেছো আর মিথ্যা বলার জন্যে রাশেদ তোমার সাথে কথা বলে না?
মিমিঃজানি না।
ইমিমঃআর ফেসবুকে ওভাবে ফলাও করে রাশেদকে তোমার অসহ্য লাগে,এটা বোঝাতে গেলে কেন?
মিমিঃআমি আমার ইচ্ছাতে লিখেছি।লিখাটা আমার স্বাধীনতা।
ইমিমঃতা,ঠিক।তবে সত্যটা লিখলেনা কেন?
মিমিঃজানিনা।ওসব লিখতে ইচ্ছা হয়নি।
ইমিমঃজানি।সত্য বলতে তোমার ভালো লাগেনা।



শুভর জন্মদিন।বন্ধু বান্ধব মিলে সেলিব্রেট করলো।শুভ বাইক চালাতে পারেনা,সাইকেল চালাতে পারে।তবে গার্লফ্রেণ্ডকে সাইকেলে চড়িয়ে ঘোরানো ভালো দেখায় না।ওতে রোমান্স নেই।ভাবও নেই।রোমান্স দেওয়ার জন্যে শুভ অন্য উপায় অবলম্বন করলো।সে মিমকে গোপনে তার প্ল্যানটা বললো।মিম প্রথমে রাজি না হলেও,পরে রাজি হলো।হোটেলের একটা রুম ভাড়া করলো তারা।তারপর রুমে গিয়ে………..
সন্ধ্যা প্রায় ৭টা।মিমি বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে কাপড় পরে নিলো।তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।তার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে।জ্বর চলে এসেছে।জীবনে প্রথমবার বলেই হয়তো এরকম হচ্ছে।বাসায় এসে আবার আয়নার সামনে গেল।ইদানিং ইমিমের কথা শুনতে তার ইচ্ছা হয়।খারাপ লাগে,তাও শুনত ইচ্ছা হয়।
ইমিমঃকাঁপছো কেন মিমি?
ইমিমকে দেখে আঁতকে উঠলো মিমি।এ কী চেহারা হয়েছে তার?সমস্ত মুখ ব্রনে ভর্তি।চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে গেছে।আস্তে আস্তে ইমিম তার সমস্ত শরীর মিমির সামনে তুলে ধরলো।গোটা শরীরে পচন ধরতে শুরু করেছে।ত্বক থেকে পুঁজ,রক্ত বের হচ্ছে।
মিমিঃ(কাঁপা স্বরে) একি,ইমিম?এই অবস্থা কেন তোমার?
ইমিমঃআমার কথা ছাড়ো।শুভর সাথে সময় কেমন কাটালে,তাই বলো।
মিমি কিছু বলেনা,মাথা নিচু করে থাকে।
ইমিমঃখুব মজা পেয়েছো তাই না?
মিমি এবারও চুপ।
ইমিমঃস্বামীর অধিকারটুকু দিয়ে দিলে শুভকে?কাজটা কি ঠিক হলো?
মিমিঃশুভ তো আমাকে বিয়ে করবে।সেইতো আমার স্বামী হবে।তাহলে সমস্যা কোথায়?
ইমিম
:ভুল কথা।ওরা স্বামিত্ব বোঝেনা।যে শুধু অল্প কদিনের ঘনিষ্টতাই তোমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালো,সে সারাজীবন শুধু তোমার সাথেই থাকবে,অন্য কোন মেয়ের সাথে এসব করবে না,কীভাবে নিশ্চিত হলে?
মিমিঃউফ্‌।ভালো লাগছেনা শুনতে।আমি তোমার কথা মানিনা,বিশ্বাস করিনা।
ইমিমঃজানি,তুমি সত্য মানতে চাও না।তবে তোমার স্বামী ঐরকমই হওয়া উচিত যে হবে তোমার মতই স্বার্থপর,খারাপ,দুশ্চরিত্রা,মিথ্যাবাদী।
মিমিঃ(রাগের স্বরে)দূর হ সামনে থেকে।কুথসিত ডাইনী কোথাকার।
ইমিমঃআমাকে কুথসিত করেছো তুমি।আমি তোমারই বিবেক।সব খারাপ কাজের আগেই আমি তোমাকে বাধা দিয়েছি।তুমি আমার কথা শোননি।তাই আমি পচতে শুরু করেছি।শীঘ্রই মারা যাবো।তবে একটা কথা বলি,তুমি নষ্ট হয়ে গেছো।আমি মারা যাবার আগেই ভালোর পথে ফিরে এসো।
উপসংহারঃইমিম(IMIM) হলো মিমি(MIMI) এর ভেতরের সত্য রূপ,যাকে বিবেক বলি আমরা।সৃষ্টিকর্তা সব মানুষের ভেতরেই এটা দিয়েছেন।এটার কথা আমাদের শোনা উচিত।কেননা,বিবেক কখনও মানুষকে ভুল পথ দেখায় না।শয়তান সবসময় চেষ্টা করে বিবেককে মেরে ফেলতে।কিন্তু এটা রক্ষা করে জীবনে চলার দায়িত্ব আমার,আপনার,আমাদের সবার।

Sunday, 2 September 2012

চিড়িয়াখানায় কিছু আজব চিড়িয়া


(কারও জীবনে ঘটনাগুলো মিলে গেলে সেটা কাকতালমাত্র।এর জন্যে লেখক দায়ী নন)
বুধবার সকালে বন্ধুরা হঠাত ঠিক করলাম ঘুরতে বের হবো।কোথায় যাওয়া যায়?রাজশাহীতে ঘোরার জায়গা বলতে হাতেগোনা কিছু স্থান যেগুলো ইতোমধ্যেই আমাদের দেখা হয়েছে।তাই,ঘুরতে চাইলে পরিচিত স্থানেই যেতে হবে।ঠিক করলাম,চিড়িয়াখানায় যাবো।গেলাম।রাস্তায় অটোরিক্সাকে কিছুক্ষন বসিয়ে রেখে খাবার আনতে গেলাম।একটু দেরী হল বার্গারগুলো গরম করতে।আমাদের সহযাত্রী(দু’জন সুন্দরী) ও ড্রাইভার সাহেব মহাবিরক্ত।ড্রাইভার যেন অকথ্য ভাষায় আমাদের গালি না দিতে পারে সেজন্য শাহেদকে বসিয়ে রেখে গেছিলাম।এসে দেখি আমাদের জায়গায় আরও একজনকে তুলেছে।২ জনের স্থানে ৩ জন তোলার কারণ জানতে চাইলাম ড্রাইভারের কাছে।সে ত্যাড়া করে বললো,
            “ওইখানেই বসতে হবে।গাড়িতো আর নতুন চালাই না”
আমিও কণ্ঠস্বর রূড় করে বললাম,
      “মামু,আমরাওতো আর নতুন না।বইসা ছিলেন বলে আবার উঠলাম।কথা বাড়ায়েন না।চলেন”
ড্রাইভার কিছু না বলে চালাতে লাগলো।চিড়িয়াখানায় পৌঁছার পর দেখি ৪০ টাকার ভাড়া ২৮ টাকা চায়লো।যাহোক,ভেতরে ঢুক্লাম টিকিট কেটে।ভল্লুকের পাশের খাঁচা-ই বাঘের।তবে ওটা যে বাঘের খাঁচা এটা বুঝলাম খাঁচায় ঝোলানো সাইনবোর্ড দেখে।বাঘ নাই।মরে গেছে।এরপর সিংহের খাঁচা দেখে সোজা চলে গেলাম বানরের খাঁচার সামনে।এই প্রাণিটার প্রতি আমার প্রবল আকর্ষন।বুদ্ধি,বাদাম ধরার দক্ষতা,মজার মজার কাণ্ডকীর্তি দেখে খুবই মজা পাই।কিছুক্ষণ বাদাম খাওয়ালাম।এরপর গেলাম বেবুনের খাঁচার সামনে।এরা বানরের চেয়ে নোংরা।তারপর গেলাম উদবিড়ালের খাঁচার কাছে।সেখান থেকে যে জন্তুটার কাছে গেলাম এটাও আমাকে খুব আকৃষ্ট করে।মেছোবাঘ।চরম খ্যাপা সব সময়।একটুতেই গর্জন করে।এদের দেখলে মনে পড়ে,“বন্যেরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”।এই বাক্যটি যদি সত্য হয়,তাহলে আমরা কিছু অসুন্দর ঘটনা উপভোগ করতে এখানে আসলাম?এসেছি যখন আর কি করার।পাখ পাখালি,ময়ূর,ঘোড়া,গাধা,হরিণ,ঘড়িয়াল প্রায় সবই দেখলাম।ঘড়িয়াল ওরিয়েন্টাল অঞ্চলের এন্ডোমিক প্রাণী।বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।যাহোক,এই অবস্থায় ভাবলাম,চিড়িয়া দেখা বোধহয় শেষ।এখন,খাওয়া দাওয়া শেষে বের হবো।খাওয়ার জন্যে জায়গা খুঁজছি।লেকের ধার দিয়ে হাঁটার সময় মনে হতে থাকলো,কর্তৃপক্ষ যদি এই ব্রিজ থেকে অপারের পাহাড় পর্যন্ত আরেকটা টিকিট সিস্টেম চালু করে তাহলে বেশ লাভবান হবে।কারণ,এখানে যে বিচিত্র চিড়িয়া দেখা যায়,তাদের মধ্যে হরেক রকম প্রাণীর মিশ্রণ দেখা যায়।দেখতে তারা মানুষের মত।প্রথম ব্রিজটা পার হতেই একটা লোকের দিকে চোখ গেলো।সে চিতকার করে বলছে,“বের করে দিবি।ওরকম লোক ছাড়াও পার্ক চল্বে।আরও ভালোভাবে চলবে”। এখানে যাদেরকে ইঙ্গিত করে লোকটা কথাগুলো বলেছে তারা হলো আমার এই বিচিত্র চিড়িয়া।লোকটা চিড়িয়াখানার কর্মচারী।তার কথার ঝাঁঝ শুনে ভাবলাম,যাক,চিড়িয়াখানা বোধহয় সভ্য হয়েছে কিছুটা।কিন্তু ভুল ভাঙ্গতে সময় লাগলো না।দু’পা এগুতেই প্রেমের নরকে(আসলে এই কীর্তিকলাপকে স্বর্গ বলতে ইচ্ছা হচ্ছে না) প্রবেশ করলাম।চিড়িয়াগুলো জোড়ায় জোড়ায় বসে আছে।আমরা বসার জন্যে জায়গা ফাঁকা পাচ্ছিলাম না।একটু জায়গা পেতেই বসে পড়লাম।ভাব্লাম আমাদের পাশের জোড়াগুলো হয়ত উঠে যাবে।কিন্তু লজ্জার মাথা খেয়ে তারা আমাদের সামনেই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে লাগলো।সামনের জুটি চুমু খেলো একে অপরকে।ছেলেটা চরম উত্তেজিত।ঠোঁট ছাড়ছেই না।কিন্তু,মেয়েটার খেয়াল হল,তাই সে একটা কাপড় দিয়ে আড়াল করলো নিজেদের।আমাদের পাশের জুটি ঝগড়া করছে।মেয়েটা কেন দেরী করে এলো এই নিয়ে ঝগড়া।পিছনেই এক জুটি।দেখে মনে হচ্ছে পালিয়ে বিয়ে করেছে।কাছে ট্রাভেল ব্যাগ।মেয়েটা শাঁড়ি পরা শেখেনি ঠিকমত।এবার যেটা দেখলাম সেটা কখনও দেখবো বলে ভাবিনি।পাঠকের অবগতির জন্যে প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের অপরাহ্নের গল্প নামক প্রবন্ধের একটা উক্তি এখানে দিয়ে রাখছি,
“অবস্থা যা,তাতে স্পেডকে স্পেড বলাই বাঞ্চনীয়”।এখানে পাঠক বেশি বিশ্লেষনে না গিয়ে ঘটনা পড়ে গেলেই চলবে।কৃষ্ণকায় একটা ছেলে একটা বোরখা পরা মেয়েকে নিয়ে আসলো।জায়গাটা আমাদের কাছেই।সরু লেকটার ধারেই।এসেই জোর করে মেয়েটার স্তন টিপতে লাগলো।মেয়েটা বারবার ছেলেটার হাত সরিয়ে দিচ্ছিলো।কিন্তু ছেলেটা থামছিলো না।আমার কাছে ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হল তাই আবু(আমার বন্ধু)কে নিয়ে গেলাম ছেলেটাকে থামানোর জন্যে।আমরা আসছি দেখে তারা চলে গেলো।তারপর সেকানে আরও এক জুটি আসলো।এরাও একই কাজে ব্যস্ত,তবে স্বেচ্ছায়।আমরা যেখানে বসেছিলাম সেখানে অনেক হেরোইন খোর ঘোরাঘুরি করে টাকা চায়।একটা শিশুও আসলো।শিশুটা অদ্ভুত স্বরে একটা কথা-ই বারবার বলে যেতে থাকলো,“দেএএএএন”।যতক্ষন তাকে কেও টাকা না দিচ্ছে ততক্ষন সে অভাবে চায়তে লাগলো।এক প্রেমিক(মহাবিরক্ত হয়ে নাকি প্রেমিকার সামনে ভাব নেবার জন্যে জানিনা) তাকে লাত্থি দিলো।আমরা শিশুটিকে কিছুটা খাবার দিয়ে বিদায় করলাম।এরপর আমরা পাহাড়ের দিকে গেলাম।পাহাড়ের পাশেই এক জুটির দিকে চোখ গেলো।ছেলেটা শার্ট খুললো।আমরা কৌতুহলী হয়ে দেখতে থাকলাম কী হয়।কিন্তু যা ভেবেছিলাম তেমন কিছুনা।ছেলেটা বগলে পাঊডার দিয়ে শার্ট পর নিলো।আমরা পাহাড়ে উঠলাম।আমাদের দেখে এক জুটি তাদের এলোমেলো হয়ে থাকা কাপড় ঠিক করে নিলো।তারপর নিচে নেমে গেলো।ছেলেটা মেয়েটাকে একটা গাছের সাথে ঠেস দিয়ে ধরলো।চুমু দেওয়ার পর কাপড় না খুলেই যৌনক্রিয়া আরম্ভ করে দিলো।একটা লোক আবার থাকতে না পেরে কাছে গেলো ইংলিশ মুভি উপভোগ করার জন্য
লোকটাকে দেখে জুটি অপুর্ণ তৃপ্তি নিয়ে সেখান থেকে সরে গেলো।কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আমরা নিচে নেমে আসলাম।এসেই দেখি সাব্রিনাকে।একে কখনও এই অবস্থায় দেখবো বলে ভাবিনি।মানুষ কত সহজেই এসব দিকে পা বাড়াই?দেখি সাব্রিনা আর নাঈম কিস্‌ করছে,গলা চুলকিয়ে দিচ্ছে…..চিড়িয়াখানা থেকে বের হতেই দেখি দু’টা কুকুর শত শত লোকের সামনে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত।স্রষ্টা তাদের জন্যে মানুষের মত বাসা দেন নি।দিলে তারা এই কাজ করত কিনা জানিনা।শুধু জানি,কুকুরদের মস্তিষ্কে এটা নেই যে “তারা যেটা করছে সেটা খোলা জায়গাতে,সবার সামনে করা উচিত না”।

Tuesday, 28 August 2012

আমারও লিখতে ইচ্ছে করে


আমার কবিতায় নেই কোন ছন্দ,
যে পড়ে সে-ই বলে মন্দ,
তবু লিখছি,পাচ্ছি আনন্দ।
আমি গল্পকার নই,
বাজারে অনেক গল্পের বই,
আমার গল্প শোনার সময় কই?
চারিদিকে পচা গন্ধ,
দেখেও সাজে অন্ধ,
কার জন্য লিখছি এই প্রবন্ধ?
মানুষের মাথায় অনেক ব্যথা,
সময় নেই অযথা,
কার জন্য করি রসিকতা?
ডানা নেই তুলার,তবু বাতাসে উড়ে,
অনেক ক্ষতি,তবু মুখে সিগারেট পুড়ে,
কোন পাঠক নেই তবু,আমারও লিখতে ইচ্ছে করে।


পটকা

ছেলেটার নাম শিশির।বাবা কাপড় ব্যবসায়ী।আয় ভালো।তবে ছেলের স্বভাব ভালো না।তার সঙ্গীরা খারাপ।সং দোষে লোহা ভাসে বলে শুনেছি।তবে কোথায় ভাসে জানিনা।আবার কীভাবে ভাসে তাও জানিনা।জাহাজ পানিতে ভাসে।কিন্তু তার জন্যে সং দোষের প্রয়োজন পড়ে না।যা হোক,এটা পন্ডিতদের ব্যাপার।শিশির একটু দেরী করে স্কুল পাশ করেছে।তবে,সে যে পাশ করেছে এটাতেই তারা খুশি।তারা বলতে আসলে খুশি সে এবং তার বাবা।তার মা নেই।তার বয়স যখন ২ তখন তার মা মারা যায়।বাবা আর বিয়ে করেনি।বংশের প্রদ্বীপ হয়ে জ্বলছে।তো,কলেজে ওঠার পর পড়াশোনা আর কিছুই হল না।বখাটেদের সাথে ঘুরতে লাগলো।ঈদের সময় আসলেই তারা বিভিন্ন প্রকার সেবামূলক কাজে(অন্তত এরা সেটাই মনে করে) ঝাঁপিয়ে পড়ে।প্রতিদিন সেহেরীতে ঢোল বাজিয়ে মানুষকে জাগানোর জন্যে মাসের শেষে চাঁদা ওঠানো।মানুষ ঢোলের শব্দে জাগুক আর না জাগুক,মাসের শেষে চাঁদা দিতেই হবে।শিশিরদের ২য় কাজ হল,ঈদ কার্ডের দোকান দেওয়া।পুরনো সব কার্ড এরা ঈদের পরপরই কিনে রাখে এবং পরের ঈদে সেগুলো বিক্রি করে।কিছু কোমলমতি বাচ্চা কাচ্চা যাদের ঘোরাঘুরির গন্ডি স্কুল,প্রাইভেট,বাসা এই তিনটাতেই সীমাবদ্ধ,তারা-ই মূলত এদের কাস্টমার।শিশিরদের ২য় কাজটা হল পটকা ফাটানো।পটকা নামক এই বস্তু ফাটিয়ে তারা এক বিচিত্র স্টাইলে মনের আনন্দ প্রকাশ করে থাকে।রোজার আগে পটকা উতসব শুরু হয় এবং ঈদের পরে(যতদিন পটকা অবশিষ্ট থাকে) কিছুদিন পর্যন্ত থাকে।শিশির এই পটকা উথসবের আয়োজক।তাকে পটকা গবেষকও বলা যেতে পারে।পটকা সম্পর্কে তার জ্ঞান অনেকটাই ডাক্তারের রোগ সম্পর্কে ধারণার মত।এই কারণে তার নাম পটকপাদতবে পটকের পরে পাদ লাগানোর একটা কাহিনী আছে।শিশির তার গবেষনার মাধ্যমে পটকা আবিষ্কারের ঘটনা জানতে পেরেছে।এখন সেটা সে অন্যদের বলে।এখানে আবিষ্কারের ঘটোনাটি তুলে ধরছিঃ
  অনেক আগে পটকট মিত্র নামে এক রাজা বাস করতেন(কোথাকার রাজা এটা নিয়ে পাঠকের মনে কোন রকম কৌতুহল কামনা করছিনা)।আগেকার রাজাদের বিচিত্র সব শখ হত,এখন আর হয় না।কেননা,আগে গণতন্ত্র বলতে কিছু ছিলো না।এখন আছে।আগে রাজা হত বংশ পরম্পরায়।রাজা যা বলত তাই হত।তো,এই রাজা মহাশয় কিছুদিন থেকে একটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত।তিনি খেয়াল করে দেখেছেন,যখন তিনি বায়ু ত্যাগ করেন(যাকে আমরা পাদ বলে অভ্যস্ত)তখন একটা অদ্ভুত শব্দ হয়।আসলে একটা না।একেকবার একেকটা।কখনও আবার শব্দ হয় না।তবে কেন এরকম হয় এটা রাজার চিন্তার বিষয় না।মাঝে মাঝে বিশেষ কিছু পাদ রাজার খুব ভালো লাগে।সেই পাদের শব্দ কীভাবে সবসময় শোনা যায়,এটা বের করার জন্যে রাজা রাজ্যের গবেষকদের আদেশ করলেন।যে করেই হোক,রাজাকে সমাধান করে দিতেই হবে।নাহলে,গর্দান যাবে।গবেষকরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা সমাধান বের করলেন।বর্ণনাটি অনেকটা এরকমঃ
  বিভিন্ন প্রকার পাদ এবং তাদের বৈশিষ্টঃ
    ১)ফুস পাদঃএতে শব্দ নেই,গন্ধ আছে।অতি জঘন্য।
    ২)ভট পাদঃএতে ভট করে আওয়াজ হয়।গন্ধ নাই।
    ৩)পুঁই পাদঃএটা স্বল্পকালীন পাদ।আওয়াজ কম।মাঝে মাঝে গন্ধ হয়(অনেকটা মুলা নামক সবজির মত)
    ৪)পোঁওও পাদঃএটা কিছুটা দীর্ঘকালীন পাদ।শব্দ আছে।
    ৫)পট পাদঃএটাতে পটাশ করে আওয়াজ হয়।
এরকম আরও অনেক পাদের বর্ণনা।রাজা বিবরণ দেখে এবং পাদের শব্দ পর্যবেক্ষন করে দেখলেন পট পাদ তাঁর খুবই ভালো লাগছে।তিনি এরপর থেকে প্রতি মাসে একবার করে রাজ্যে এই পট পাদের প্রতিযোগিতা করার আয়োজন করতে আদেশ দিলেন।আস্তে আস্তে সমস্ত রাজ্যে এই পাদ জনপ্রিয় হতে শুরু করলো।বিজ্ঞানীরাও চিন্তা করে একটা বস্তু বের করলেন যাকে ফাটালে পাদের মত শব্দ হয়।তবে শব্দটা অনেক জোরে।সেই বস্তুটাই আজ পটকা নামে সমাজে বহুল প্রচলিত।
এই গল্পের জন্য শিশিরকে সবাই “পটকপাদ” বলে।তবে,যা-ই হোক,শিশির আর তার বন্ধুদের পটকা উতসব জমজমাট।অনেক রকম পটকা তারা বিক্রি করে।পটকার নামগুলোও চমতকার!মরিচ পটকা,বোমা পটকা,লাদেন পটকা,বুড়িমা পটকা,চকোলেট পটকা আরও কত কী।পাড়ায় যত পটকা ফাটে তার প্রায় সবগুলোই শিশিরদের ফাটানো।মাঝে মাঝে কিছু দূর্ঘটনাও ঘটে।এই যেমন গত ঈদের ঘটনা,সুমন(পাড়ার ছেলে,বয়স ১৩/১৪,ভূতের সিনেমা দেখে,কিন্তু খুব ভীতু) একটা হরর মুভি দেখে টয়লেট এ ঢুকেছে প্রস্রাব করবে বলে।তখনই কারেণ্ট গেছে।ভয়ে এমনিতেই পেশাব আটকিয়ে গেল।ঠিক তখনই পাশেই দুম করে পটকা ফাটলো।সুমন প্যান্টটার চেইন লাগানোর আগেই অজ্ঞান হয়ে গেলো।পরে দরজা ভেঙ্গে বের করতে হল তাকে।আরেকটা ঘটনা,হনু প্রসাদ একজন স্মোকার।সেদিন মুখে সিগারেট নিয়ে আগুন কেবল মুখের কাছে এনেছেন,অমনি দুম
আগুনটা মুখে লাগলো।পুড়ে গেলো মুখ।এরপর থেকেই পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা তাকে দেখলেই বলে উঠত,“মুখ পোড়া হনু”।স্নিগ্ধা বাজার করে এসেছে।বড় কাজের প্রচণ্ড চাপ লেগেছে।বাজারে থাকার সময় টের পায়নি।রিক্সায় উঠার পর থেকেই বুঝতে পেরেছে।বাসায় পৌঁছালো অনেক কষ্টে।আর ধরে রাখতে পারছে না।জলদি গেল টয়লেট এ।গিয়ে যেই হালকা করতে শুরু করবে,তখনই হইচই।বাসায় আগুন লেগেছে।কিন্তু স্নিগ্ধার অবস্থা যা তাতে এই অবস্থায় উঠে আসা সম্ভব না।আবার না বেরুলে পুড়তে হবে।এরপর,যেটা ঘটল সেটা বলতে আমার লজ্জা লাগছে।পাঠক ভাবছেন এই কথা এখানে কেন?কারণ,এই আগুনের পেছনেও আছে পটকা।
যাহোক,এবার পটকপাদ শিশিরের ব্যপারটা বলে শেষ করি।শিশিরের বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে।এই ইদের পরই বিয়ে।ঈদে যথারীতি পটকা ফাটানো শুরু হয়েছে।এরা একসাথে ৫টা পটকা ফাটায়।ফাটার পর সবাই একসাথে শিয়ালের মত আওয়াজ করে পালায়।ভয় পায়,নাকি আনন্দে সেটা জানিনা।তবে,সেদিন পটকা ফাটানোর সময় পুলিশ তাড়া করেছিলো।কপাল খারাপ বলতে হবে শিশিরের।তা নাহোলে তার সাথে এতোগুলো কাকতালীয় ঘটনা ঘটে একবারে?পুলিশ তাড়ছে দেখে শিশির একটু মজা করতে চায়লো।সে পটকার সুতায় আগুন দিয়ে যেই পুলিশের দিকে ছুড়বে এমন সময় কারও পায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল।কাকতালীয়ভাবে পড়লো তারই জ্বালানো পটকার উপর।তখনই পটাশ!কাক্তালীয়ভাবে বিয়ের কদিন আগেই বেচারা শিশিরকে তার জননাঙগটা বিসর্জন দিতে দিতে হল।তবে মজার একটা ঘটনা ঘটলো।আর ঘটনাটা বিয়ের দিনের।
…..

Sunday, 26 August 2012

কেউ নেই,তবু আছে


কেউ নেই আমার,
পড়ে থাকা কবিতাগুলো পড়ে দেখবার।
কেউ নেই আমার,
গল্পের কথাগুলো ভেবে দেখবার।
কেউ নেই আমার,
আঁকা ছবিতে রঙ দেবার।
কেউ নেই আমার,
গানের কথাগুলো গুনগুন করে গাওয়ার।
কেউ নেই আমার,
লিখা নাটকের সংলাপ বলার।
কেউ নেই আমার,
ম্যাজিক দেখে অবাক হওয়ার।
কেউ নেই আমার,
পাশে থেকে শাবাশ বলার।
তবু লিখছি গান,গল্প,কবিতা,
পাতা ভরাচ্ছি এঁকে,মনের ছবিটা।

পূর্ণতা


ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা,
লাল,সাদা,গোলাপি,কালো গোলাপ
কিন্তু কালো,অন্ধের কাছে।
জীবনের সব সত্য মিছে।
দেহ কণ্টকীত,আছে সুঘ্রাণ,
যে বুঝে,সে ভরায় মনপ্রাণ।
কাঁটায় ভরা,আছে মাঝে মাঝে ফাঁক,
ধরতে হবে সেথায়,শুরু হবে বাঁক।
প্রাণ থাকলে থাকবে কষ্ট,শূন্যতা,ব্যথা,
মরা গোলাপে সৌরভ থাকেনা,সে তো জানা কথা।
কালো গোলাপ,নিজেকে দেখে ভাবে বর্ণহীন সে,শুধুই কালো,
সে ছাড়া পৃথিবীর বাকি সবাই আছে খুব ভালো।
রং,সে তো গোলাপের সৌন্দর্য্য,
অভাগা সে-ই,
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা কিছুই যার নেই,
আছে শুধুই ঐশ্বর্য্য।
গাছেই গোলাপের প্রাণ,
আলাদা করলে হারায় চেহারা,হারায় ঘ্রাণ।
গোলাপহীন গাছ,যেন রমণীর মাথায় চুলের শূন্যতা,
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা আনে জীবনের পূর্ণতা।

Tuesday, 13 March 2012

ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার




ভাঙ্গে ঘুম ছটায়                                         
  বিছানা ছাড়তে চায়না মন্‌টা,                                                       
উঠ্‌তে উঠতে তাই,
                                   
  কেটে যায় আরো আধা ঘণ্টা ।                                
সকাল্‌টা কাটে প্রাইভেটের চিন্তায়             
  সাথে ফ্রী আব্বুর ঝাড়ি,
রেডী হই,খাবার খাই
  তাড়াহুড়ো করে ছাড়ি বাড়ি।
গিয়েই শুনি,কেন এত দেরী?
কিছু বলা বৃথা,তাই চুপচাপ বসে পড়ি।
কানে বাজছে সূত্র
  আবিষ্কারক হলেন মিস্টার হুক,
হাত চলছে যত্রতত্র
  চোখ দেখছে মোবাইলে ফেইসবুক।
স্যার বুঝাচ্ছেন চেঁচিয়ে,
আমি তখন পাশের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে
……
এরপর যায় কলেজে,
চলে যায় সময় ব্লুটুথে মেয়ে খুঁজে।

উড়ু উড়ু করছে মন্‌টা,
কখন যে বাজবে ঘণ্টা?
কমনরুমে দাদারা ফুঁকছে সিগারেট,
আমি তাই চলে এলাম মাঠে,খেলতে ক্রিকেট
প্র্যাক্টিকাল শেষে এখন বিকেল তিনটা,
ওয়াদুদ স্যারের প্রাইভেট মিস দিতে চাইছে মন্‌টা।
বাড়ির কাজ করিনি,তবুও জোর করে গেলাম,
প্রতিদিনের মত তাই আজও ঝাড়ি খেলাম
এরপর গেলাম কেমিস্ট্রি পড়তে,
সন্ধ্যে হলো বাসায় ফিরতে,
খাওয়া দাওয়া সেরেই লেগে গেলাম
মালেক স্যারের বাড়ির কাজ করতে।
শেষ হলো,এখন অনেক রাত,
তাড়াতাড়ি খেলাম ভাত ।
শরীরকে এবার দিতে হবে মুক্তি,
এখন না ঘুমানোর নেই কোন যুক্তি।

এভাবেই চলে,সিরিয়াসনেস খুবি রেয়ার,
হ্যাঁ ভাই,আমরাই ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার।

Wednesday, 15 February 2012

বন্ধুরূপী শত্রু


রাহাত।দেখতে শান্তশিষ্ট।ভদ্র ঘরের ছেলে।কিছুটা লাজুক প্রকৃতির।SSC পরীক্ষার ঠিক পরেই খুব একাকিত্ব বোধ করতে লাগলো বিশেষ কোন একজনের জন্যে।এটার অবশ্য কারণও আছে।রাহাতের বন্ধুদের অনেকেই প্রেম করে।আসলে এই বয়সে প্রেম করার অর্থ হল বন্ধু মহলে নিজেকে একটু বড় করে উপস্থাপন করে তোলা।সেক্ষেত্রে রাহাতের অবস্থান একেবারে শুন্য।প্রেম করাত দূরে থাক,মেয়ে কোন বন্ধু-ই রাহাতের ছিলোনা।সে মেয়েদের সাথে সহজভাবে কথা বলতেই পারেনা।তাছাড়া সে পড়াশোনাতেও খুব একটা ভালো না।কাউকে আকৃষ্ট করার মত কিছুই তার মধ্যে নেই।এসব কারণে রাহাত প্রায়ই বিষণ্ণ থাকত।হঠাত একদিন তার কিছু বন্ধু তাকে নতুন একটা বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।রাহাত প্রথমে নতুন বন্ধুর সাথে সখ্যতা করতে চায়ছিলো না।কিন্তু ধীরে ধীরে সখ্যতা শুরু করলো।আস্তে আস্তে রাতেও বন্ধুতির সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়ে উঠলো।সকালে,দুপুরে,বিকেলে,রাতে অন্তত একবার করে দেখা করা চাই-ই চাই।
রাহাত কলেজের হোস্টেলে থাকে।বন্ধুটি রাহাতকে রাত জাগতে সাহায্য করে,সাহসী করে তোলে,আড়ষ্ঠতা দূর করে,লাজুক ভাবটা সরিয়ে ফেলে ধীরে ধীরে।রাহাতও এই বন্ধুকে ছাড়া থাকতে পারেনা।সেকেন্ড ইয়ারে উঠতেই রাহাতের কয়েকটা মেয়ে বন্ধু জুটে গেল।এখন রাহাতের আর তেমন কোনো বিষন্নতাও আসেনা।আসলে বিষণ্নতা আসতে দেয় না রাহাতের সেই বন্ধুটি।রাহাতের সার্বক্ষণিক সঙ্গী সে।HSC পাশের পর রাহাত ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কোথাও চান্স না পেয়ে কলেজের অনার্স কোর্সে ভর্তি হয়।বন্ধুটি তখনও রাহাতের সার্বক্ষণিক সঙ্গী।রাহাত কখনই তার বন্ধুকে ছাড়া থাকতে পারেনা।হঠাত একদিন রাহাত প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে।ঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিলো না।বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা। রুমমেটরা তাড়াতাড়ি করে তাকে হাস্পাতালে নিয়ে যায়।ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকি্ত্‌সা দিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তুলেন এবং কিছু টেস্ট করতে দেন।টেস্টে রাহাতের ফুস্‌ফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
আজ রাহাত হাস্পাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে ভাবছে,তার সেই বন্ধুর কথা।বন্ধুটি আজও তার পাশে আছে।রাহাত অনেক বিশ্বাস করেছিল তার বন্ধুটিকে।বন্ধুটিও সারাক্ষণ রাহাতের পাশেই ছিলো।কিন্তু,সে রাহাতের কাছ থেকে আস্তে আস্তে সবকিছু নিয়ে নিয়েছে।রাহাতের টাকা-পয়সা,সময়,মেজাজ এমনকি গোটা শরীরটাও।রাহাত আজ মৃত্যুর মুখে এসে দাড়িয়েছে।সবাই ভাবছেন,রাহাতের সেই বন্ধুটি কে?হ্যাঁ,আমি বলবো তার পরিচয়।তবে,তার আগে বলুন তো,এরকম(যে তার সঙ্গীর সব কিছু নিয়ে নেয়) বন্ধুকে কি বন্ধু বলা যায়?সে তো আমাদের শত্রু।
আর রাহাতের সেই বন্ধুরূপী শত্রুটি হলো সিগারেট,যা রাহাতের মত এই গোটা সমাজটাকেই জ্বালিয়ে দিচ্ছে।তাই,আসুন,আমরা সিগারেটসহ সকল প্রকার মাদক দ্রব্য হতে দূরে থাকি।