আমারও লিখতে ইচ্ছে করে
আমার কবিতায় নেই কোন ছন্দ,
যে পড়ে সে-ই বলে মন্দ,
তবু লিখছি,পাচ্ছি আনন্দ।
আমি গল্পকার নই,
বাজারে অনেক গল্পের বই,
আমার গল্প শোনার সময় কই?
চারিদিকে পচা গন্ধ,
দেখেও সাজে অন্ধ,
কার জন্য লিখছি এই প্রবন্ধ?
মানুষের মাথায় অনেক ব্যথা,
সময় নেই অযথা,
কার জন্য করি রসিকতা?
ডানা নেই তুলার,তবু বাতাসে উড়ে,
অনেক ক্ষতি,তবু মুখে সিগারেট পুড়ে,
কোন পাঠক নেই তবু,আমারও লিখতে ইচ্ছে করে।
.............................................................................................
কেউ নেই,তবু আছে
কেউ নেই আমার,
পড়ে থাকা কবিতাগুলো পড়ে দেখবার।
কেউ নেই আমার,
গল্পের কথাগুলো ভেবে দেখবার।
কেউ নেই আমার,
আঁকা ছবিতে রঙ দেবার।
কেউ নেই আমার,
গানের কথাগুলো গুনগুন করে গাওয়ার।
কেউ নেই আমার,
লিখা নাটকের সংলাপ বলার।
কেউ নেই আমার,
ম্যাজিক দেখে অবাক হওয়ার।
কেউ নেই আমার,
পাশে থেকে শাবাশ বলার।
তবু লিখছি গান,গল্প,কবিতা,
পাতা ভরাচ্ছি এঁকে,মনের ছবিটা।
............................................................................................................
A Little Hope
*****************************************
পূর্ণতা
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা,
লাল,সাদা,গোলাপি,কালো গোলাপ
কিন্তু কালো,অন্ধের কাছে।
জীবনের সব সত্য মিছে।
দেহ কণ্টকীত,আছে সুঘ্রাণ,
যে বুঝে,সে ভরায় মনপ্রাণ।
কাঁটায় ভরা,আছে মাঝে মাঝে ফাঁক,
ধরতে হবে সেথায়,শুরু হবে বাঁক।
প্রাণ থাকলে থাকবে কষ্ট,শূন্যতা,ব্যথা,
মরা গোলাপে সৌরভ থাকেনা,সে তো জানা কথা।
কালো গোলাপ,নিজেকে দেখে ভাবে বর্ণহীন সে,শুধুই কালো,
সে ছাড়া পৃথিবীর বাকি সবাই আছে খুব ভালো।
রং,সে তো গোলাপের সৌন্দর্য্য,
অভাগা সে-ই,
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা কিছুই যার নেই,
আছে শুধুই ঐশ্বর্য্য।
গাছেই গোলাপের প্রাণ,
আলাদা করলে হারায় চেহারা,হারায় ঘ্রাণ।
গোলাপহীন গাছ,যেন রমণীর মাথায় চুলের শূন্যতা,
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা আনে জীবনের পূর্ণতা।
............................................................................................................
ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার
ভাঙ্গে ঘুম ছ’টায়
বিছানা ছাড়তে চায়না মন্টা,
উঠ্তে উঠতে তাই,
কেটে যায় আরো আধা ঘণ্টা ।
সকাল্টা কাটে প্রাইভেটের চিন্তায়
সাথে ফ্রী আব্বুর ঝাড়ি,
রেডী হই,খাবার খাই
তাড়াহুড়ো করে ছাড়ি বাড়ি।
গিয়েই শুনি,কেন এত দেরী?
কিছু বলা বৃথা,তাই চুপচাপ বসে পড়ি।
কানে বাজছে সূত্র
আবিষ্কারক হলেন মিস্টার হুক,
হাত চলছে যত্রতত্র
চোখ দেখছে মোবাইলে ফেইসবুক।
স্যার বুঝাচ্ছেন চেঁচিয়ে,
আমি তখন পাশের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে……
এরপর যায় কলেজে,
চলে যায় সময় ব্লুটুথে মেয়ে খুঁজে।
উড়ু উড়ু করছে মন্টা,
কখন যে বাজবে ঘণ্টা?
কমনরুমে দাদারা ফুঁকছে সিগারেট,
আমি তাই চলে এলাম মাঠে,খেলতে ক্রিকেট ।
প্র্যাক্টিকাল শেষে এখন বিকেল তিনটা,
ওয়াদুদ স্যারের প্রাইভেট মিস দিতে চাইছে মন্টা।
বাড়ির কাজ করিনি,তবুও জোর করে গেলাম,
প্রতিদিনের মত তাই আজও ঝাড়ি খেলাম ।
এরপর গেলাম কেমিস্ট্রি পড়তে,
সন্ধ্যে হলো বাসায় ফিরতে,
খাওয়া দাওয়া সেরেই লেগে গেলাম
মালেক স্যারের বাড়ির কাজ করতে।
শেষ হলো,এখন অনেক রাত,
তাড়াতাড়ি খেলাম ভাত ।
শরীরকে এবার দিতে হবে মুক্তি,
এখন না ঘুমানোর নেই কোন যুক্তি।
এভাবেই চলে,সিরিয়াসনেস খুবি রেয়ার,
হ্যাঁ ভাই,আমরাই ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার।
............................................................................................................
বন্ধুত্ব কী?
যদি
প্রশ্ন করো,বন্ধুত্ব কী?
উত্তর দিবো,দুটো দেহের একই আত্মা।
যদি প্রশ্ন করো,আত্মা কী?
উত্তর দিবো,মানুষের মন।
যদি প্রশ্ন করো,মন কী?
উত্তর দিবো,এক অদৃশ্য সত্ত্বা।
যদি প্রশ্ন করো,এই অদৃশ্য সত্ত্বা কী?
উত্তর দিবো,যা মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
যদি প্রশ্ন করো,কাজটা কী?
উত্তর দিবো,মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
জানি বলবে,কীভাবে?
তার আগে বলো,মন ছাড়া বাঁচবে কীভাবে?
আমাদের দুঃখ,আমাদের অনুভূতি,
আমাদের হাসি,আমাদের কান্না,
আমাদের ভালোবাসা,এসবের কেন্দ্রে যে আমাদের মন।
আর এই মন,প্রকৃত বন্ধু ছাড়া বোঝে কোন্ জন?
আর দু’টি মন আলাদা থাকলে,তা বুঝবে কীভাবে?
তাই,আর দূরে সরিয়ে রেখোনা,কাছে আসতে দাও তাকে।
আমার কবিতায় নেই কোন ছন্দ,
যে পড়ে সে-ই বলে মন্দ,
তবু লিখছি,পাচ্ছি আনন্দ।
যে পড়ে সে-ই বলে মন্দ,
তবু লিখছি,পাচ্ছি আনন্দ।
আমি গল্পকার নই,
বাজারে অনেক গল্পের বই,
আমার গল্প শোনার সময় কই?
বাজারে অনেক গল্পের বই,
আমার গল্প শোনার সময় কই?
চারিদিকে পচা গন্ধ,
দেখেও সাজে অন্ধ,
কার জন্য লিখছি এই প্রবন্ধ?
দেখেও সাজে অন্ধ,
কার জন্য লিখছি এই প্রবন্ধ?
মানুষের মাথায় অনেক ব্যথা,
সময় নেই অযথা,
কার জন্য করি রসিকতা?
সময় নেই অযথা,
কার জন্য করি রসিকতা?
ডানা নেই তুলার,তবু বাতাসে উড়ে,
অনেক ক্ষতি,তবু মুখে সিগারেট পুড়ে,
কোন পাঠক নেই তবু,আমারও লিখতে ইচ্ছে করে।
.............................................................................................
অনেক ক্ষতি,তবু মুখে সিগারেট পুড়ে,
কোন পাঠক নেই তবু,আমারও লিখতে ইচ্ছে করে।
.............................................................................................
কেউ নেই,তবু আছে
কেউ নেই আমার,
পড়ে থাকা কবিতাগুলো পড়ে দেখবার।
কেউ নেই আমার,
গল্পের কথাগুলো ভেবে দেখবার।
কেউ নেই আমার,
আঁকা ছবিতে রঙ দেবার।
কেউ নেই আমার,
গানের কথাগুলো গুনগুন করে গাওয়ার।
কেউ নেই আমার,
লিখা নাটকের সংলাপ বলার।
কেউ নেই আমার,
ম্যাজিক দেখে অবাক হওয়ার।
কেউ নেই আমার,
পাশে থেকে শাবাশ বলার।
তবু লিখছি গান,গল্প,কবিতা,
পাতা ভরাচ্ছি এঁকে,মনের ছবিটা।
............................................................................................................
A Little Hope
*****************************************
পূর্ণতা
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা,
লাল,সাদা,গোলাপি,কালো গোলাপ
কিন্তু কালো,অন্ধের কাছে।
জীবনের সব সত্য মিছে।
দেহ কণ্টকীত,আছে সুঘ্রাণ,
যে বুঝে,সে ভরায় মনপ্রাণ।
কাঁটায় ভরা,আছে মাঝে মাঝে ফাঁক,
ধরতে হবে সেথায়,শুরু হবে বাঁক।
প্রাণ থাকলে থাকবে কষ্ট,শূন্যতা,ব্যথা,
মরা গোলাপে সৌরভ থাকেনা,সে তো জানা কথা।
কালো গোলাপ,নিজেকে দেখে ভাবে বর্ণহীন সে,শুধুই কালো,
সে ছাড়া পৃথিবীর বাকি সবাই আছে খুব ভালো।
রং,সে তো গোলাপের সৌন্দর্য্য,
অভাগা সে-ই,
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা কিছুই যার নেই,
আছে শুধুই ঐশ্বর্য্য।
গাছেই গোলাপের প্রাণ,
আলাদা করলে হারায় চেহারা,হারায় ঘ্রাণ।
গোলাপহীন গাছ,যেন রমণীর মাথায় চুলের শূন্যতা,
ব্যর্থতা,শূন্যতা,কষ্ট,হতাশা আনে জীবনের পূর্ণতা।
............................................................................................................
ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার
ভাঙ্গে ঘুম ছ’টায়
বিছানা ছাড়তে চায়না মন্টা,
উঠ্তে উঠতে তাই,
কেটে যায় আরো আধা ঘণ্টা ।
উঠ্তে উঠতে তাই,
কেটে যায় আরো আধা ঘণ্টা ।
সকাল্টা কাটে প্রাইভেটের চিন্তায়
সাথে ফ্রী আব্বুর ঝাড়ি,
রেডী হই,খাবার খাই
তাড়াহুড়ো করে ছাড়ি বাড়ি।
সাথে ফ্রী আব্বুর ঝাড়ি,
রেডী হই,খাবার খাই
তাড়াহুড়ো করে ছাড়ি বাড়ি।
গিয়েই শুনি,কেন এত দেরী?
কিছু বলা বৃথা,তাই চুপচাপ বসে পড়ি।
কিছু বলা বৃথা,তাই চুপচাপ বসে পড়ি।
কানে বাজছে সূত্র
আবিষ্কারক হলেন মিস্টার হুক,
হাত চলছে যত্রতত্র
চোখ দেখছে মোবাইলে ফেইসবুক।
আবিষ্কারক হলেন মিস্টার হুক,
হাত চলছে যত্রতত্র
চোখ দেখছে মোবাইলে ফেইসবুক।
স্যার বুঝাচ্ছেন চেঁচিয়ে,
আমি তখন পাশের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে……
আমি তখন পাশের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে……
এরপর যায় কলেজে,
চলে যায় সময় ব্লুটুথে মেয়ে খুঁজে।
চলে যায় সময় ব্লুটুথে মেয়ে খুঁজে।
উড়ু উড়ু করছে মন্টা,
কখন যে বাজবে ঘণ্টা?
কখন যে বাজবে ঘণ্টা?
কমনরুমে দাদারা ফুঁকছে সিগারেট,
আমি তাই চলে এলাম মাঠে,খেলতে ক্রিকেট ।
আমি তাই চলে এলাম মাঠে,খেলতে ক্রিকেট ।
প্র্যাক্টিকাল শেষে এখন বিকেল তিনটা,
ওয়াদুদ স্যারের প্রাইভেট মিস দিতে চাইছে মন্টা।
ওয়াদুদ স্যারের প্রাইভেট মিস দিতে চাইছে মন্টা।
বাড়ির কাজ করিনি,তবুও জোর করে গেলাম,
প্রতিদিনের মত তাই আজও ঝাড়ি খেলাম ।
প্রতিদিনের মত তাই আজও ঝাড়ি খেলাম ।
এরপর গেলাম কেমিস্ট্রি পড়তে,
সন্ধ্যে হলো বাসায় ফিরতে,
খাওয়া দাওয়া সেরেই লেগে গেলাম
মালেক স্যারের বাড়ির কাজ করতে।
সন্ধ্যে হলো বাসায় ফিরতে,
খাওয়া দাওয়া সেরেই লেগে গেলাম
মালেক স্যারের বাড়ির কাজ করতে।
শেষ হলো,এখন অনেক রাত,
তাড়াতাড়ি খেলাম ভাত ।
শরীরকে এবার দিতে হবে মুক্তি,
এখন না ঘুমানোর নেই কোন যুক্তি।
এভাবেই চলে,সিরিয়াসনেস খুবি রেয়ার,
হ্যাঁ ভাই,আমরাই ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার।
............................................................................................................
তাড়াতাড়ি খেলাম ভাত ।
শরীরকে এবার দিতে হবে মুক্তি,
এখন না ঘুমানোর নেই কোন যুক্তি।
এভাবেই চলে,সিরিয়াসনেস খুবি রেয়ার,
হ্যাঁ ভাই,আমরাই ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার।
............................................................................................................
বন্ধুত্ব কী?
যদি প্রশ্ন করো,বন্ধুত্ব কী?
উত্তর দিবো,দুটো দেহের একই আত্মা।
যদি প্রশ্ন করো,আত্মা কী?
উত্তর দিবো,মানুষের মন।
যদি প্রশ্ন করো,মন কী?
উত্তর দিবো,এক অদৃশ্য সত্ত্বা।
যদি প্রশ্ন করো,এই অদৃশ্য সত্ত্বা কী?
উত্তর দিবো,যা মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
যদি প্রশ্ন করো,কাজটা কী?
উত্তর দিবো,মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
জানি বলবে,কীভাবে?
তার আগে বলো,মন ছাড়া বাঁচবে কীভাবে?
আমাদের দুঃখ,আমাদের অনুভূতি,
আমাদের হাসি,আমাদের কান্না,
আমাদের ভালোবাসা,এসবের কেন্দ্রে যে আমাদের মন।
আর এই মন,প্রকৃত বন্ধু ছাড়া বোঝে কোন্ জন?
আর দু’টি মন আলাদা থাকলে,তা বুঝবে কীভাবে?
তাই,আর দূরে সরিয়ে রেখোনা,কাছে আসতে দাও তাকে।
No comments:
Post a Comment