(গল্পের
কোন চরিত্রের সাথে লেখকের পরিচয় নাই।এটা লেখকের কল্পনা মাত্র।যদি কারও সাথে
ঘটনাগুলো মিলে যায়,সেটা হবে কাকতালমাত্র।এর জন্যে লেখক দায়ী নন)
১
পড়ার
টেবিলে ব্যস্ত মিমি।বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে,আর মোস্ট ইম্পর্টেন্ট প্রশ্নগুলো
দেখছে।তার হাতে মোবাইল।না,সে পড়ছে না।মোবাইলে ছবি তুলছে উত্তরগুলোর।বরাবরের মত
এবারও পরীক্ষা চলে আসলো।পড়া হয়নি একটুও।কেন যে শুভ বারবার ফোন দেয়?না,এতে মিমি
বিরক্ত হয়না।খুব আনন্দ পায়।সেজন্যেইতো পড়া হয়না।ফোনে কথা বলতে বলতে সময় চলে
যায়।ওদিকে আবার ফেসবুক।মিমির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই ফেসবুক।যাহোক,ফিজিক্স
পরীক্ষা কাল।ইম্পর্টেন্ট প্রশ্নের উত্তর তোলা হয়ে গেছে।এবার কিছু সূত্র তুলেই শুতে
যাবে,ভাবলো মিমি।বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গেল।আয়নায় নিজেকে
দেখতে ভালো লাগে তার।নিজেকে আরও রূপবতী করে তোলার নানা ক্রিয়েটিভ চিন্তা মাথায় খেলা
করে।নিজেকে ভালো করে দেখছিলো মিমি।হঠাথ
দেখলো,তার গালে একটা ব্রন।সে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলো।ব্রনটা ছোট।এটাই
ঝামেলা।এটা গেলে দেওয়ার উপায় নেই।সারা রাতে আস্তে আস্তে বড় হবে।সকালে ফুলে
যাবে।উফ,কাল অত ছেলের সামনে ব্রন নিয়ে যাবে কিভাবে?এসব ভাবতে থাকলো।হঠাথ আয়নার
ভেতর থেকে মিমির প্রতিবিম্ব ডেকে উঠলো-
বিম্বঃমিমি,এই মিমি
মিমিঃকে?কে তুমি?
বিম্বঃআমি ইমিম।কেমন আছো তুমি?
মিমিঃইমিম মানে?তুমিতো আমার প্রতিবিম্ব।তুমি কথা বলছো কীভাবে?
ইমিমঃনা,আমি ইমিম।কথা কীভাবে বলছি,এটা আমি জানিনা।যে আমাকে বলাচ্ছে সে জানে।যাহোক,কাল তো তোমার পরীক্ষা,তাই না?
মিমিঃহ্যাঁ।কিন্তু,তুমি এখানে এসেছো কেন?
ইমিমঃতোমার সাথে কথা বলতে।আমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না?
মিমিঃনা,মোটেও ভালো লাগছে না।আর আমি জানি,তুমি কেউ না,আমার মনের ভুল।
ইমিমঃনা,আমি ইমিম।আচ্ছা,তুমি গালের ব্রনটা নিয়ে খুব চিন্তিত,তাই না?
মিমিঃহ্যাঁ।কাল পরীক্ষা।অত ছেলে যখন আমাকে দেখবে,তখন গালে ব্রন থাকার জন্যে তারা কি ভাববে…..ভাবতেই খারাপ লাগছে আমার।
ইমিমঃআশ্চর্য,তোমার খারাপ লাগে?
মিমিঃকেন লাগবে না?সব মানুষেরই খারাপ লাগার অনুভূতি থাকে।আমারও আছে।
ইমিমঃতোমার আর কীসে খারাপ লাগে,মিমি?
মিমিঃআপাতত এই ব্রনটা দেখতে।
ইমিমঃআর কিছু না?তুমি যে কাল নকল করে পরীক্ষা দিবে,এতে খারাপ লাগছে না?
মিমিঃনা।তবে এখন তোমার সাথে কথা বলতে খারাপ লাগছে।দূর হও।
ইমিমঃনকল করবে,এটাতে কেন খারাপ লাগছে না,মিমি?এটাতো চুরি করা।
মিমিঃজ্ঞান দিও না।আচ্ছা তুমি যাবেনা যখন,তখন আমিই যাচ্ছি।
মিমি বিছানায় চলে গেল।ইমিমের কথাগুলো মনে হতে লাগলো।মনে করতে চাচ্ছেনা,তবু মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে কে যেন পাশে থেকে বলছে,“ছুঁড়ি,তুই চোর,তুই চোর।”
বিম্বঃমিমি,এই মিমি
মিমিঃকে?কে তুমি?
বিম্বঃআমি ইমিম।কেমন আছো তুমি?
মিমিঃইমিম মানে?তুমিতো আমার প্রতিবিম্ব।তুমি কথা বলছো কীভাবে?
ইমিমঃনা,আমি ইমিম।কথা কীভাবে বলছি,এটা আমি জানিনা।যে আমাকে বলাচ্ছে সে জানে।যাহোক,কাল তো তোমার পরীক্ষা,তাই না?
মিমিঃহ্যাঁ।কিন্তু,তুমি এখানে এসেছো কেন?
ইমিমঃতোমার সাথে কথা বলতে।আমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না?
মিমিঃনা,মোটেও ভালো লাগছে না।আর আমি জানি,তুমি কেউ না,আমার মনের ভুল।
ইমিমঃনা,আমি ইমিম।আচ্ছা,তুমি গালের ব্রনটা নিয়ে খুব চিন্তিত,তাই না?
মিমিঃহ্যাঁ।কাল পরীক্ষা।অত ছেলে যখন আমাকে দেখবে,তখন গালে ব্রন থাকার জন্যে তারা কি ভাববে…..ভাবতেই খারাপ লাগছে আমার।
ইমিমঃআশ্চর্য,তোমার খারাপ লাগে?
মিমিঃকেন লাগবে না?সব মানুষেরই খারাপ লাগার অনুভূতি থাকে।আমারও আছে।
ইমিমঃতোমার আর কীসে খারাপ লাগে,মিমি?
মিমিঃআপাতত এই ব্রনটা দেখতে।
ইমিমঃআর কিছু না?তুমি যে কাল নকল করে পরীক্ষা দিবে,এতে খারাপ লাগছে না?
মিমিঃনা।তবে এখন তোমার সাথে কথা বলতে খারাপ লাগছে।দূর হও।
ইমিমঃনকল করবে,এটাতে কেন খারাপ লাগছে না,মিমি?এটাতো চুরি করা।
মিমিঃজ্ঞান দিও না।আচ্ছা তুমি যাবেনা যখন,তখন আমিই যাচ্ছি।
মিমি বিছানায় চলে গেল।ইমিমের কথাগুলো মনে হতে লাগলো।মনে করতে চাচ্ছেনা,তবু মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে কে যেন পাশে থেকে বলছে,“ছুঁড়ি,তুই চোর,তুই চোর।”
২
পরদিন পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরলো মিমি।শুভ ফোন দিয়েছে।
শুভঃপরীক্ষা কেমন দিলা?
মিমিঃমোটামুটি।তুমি কেমন দিলা?
শুভঃআমি আজ পরীক্ষা দিতে যাইনি।এক ফ্রেন্ডের মা হসপিটালে।উনাকে দেখতে গেছিলাম।কী করছ তুমি?
মিমিঃকিছু না।জামাকাপড় ছাড়ছি।গোসল করে খাবো।
শুভ এই সময় এমন কিছু প্রশ্ন করলো যেগুলোর উত্তর মিমি দিতে পারবে,আমি লিখতে পারবো না।১৫ মিনিট কথা বলার পর মিমি গোসল করতে গেল।গোসল শেষে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গেল।হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে চুল আঁচড়াতে লাগলো।হঠাথ তার গতকালের কথা মনে হলো।কাল রাত্রে সে তার গালে ব্রন দেখেছিলো।কিন্তু সকালে উঠে দেখে,নেই।কিন্তু একি!আজ যে আরও একটা।বেশ বড়সড়।তখনই ইমিমের কণ্ঠ শোনা গেল-
ইমিমঃকী ভাবছো,মিমি?
মিমিঃআবার তুমি?
ইমিমঃহ্যাঁ আমি।কী ভাবছো,বলো না?
মিমিঃআচ্ছা শোনো।কারও সাথে শেয়ার করতে পারছিনা।তোমাকেই বলি।আমার গালে দু’টো ব্রন উঠেছে।আজ সকালেও ছিলো না।এখনই দেখছি।কাল রাতেও দেখেছিলাম।
ইমিমঃব্রন তোমার গালে না,আমার গালে দেখছো তুমি।
মিমিঃআরে হলো।আমি আর তুমিতো একই।
ইমিমঃনা,মিমি।আমি আর তুমি আলাদা।তুমি সুন্দর,আমি অতটা না,বলতে পারো কুথসিত।
মিমিঃআবার,সেই কথা।যাহোক,তুমি কেন এসেছো?
ইমিমঃতোমার সাথে গল্প করতে।
মিমিঃতোমার সাথে আমার কোন গল্প নাই।
ইমিমঃশুভ ছেলেটাকে তোমার এত ভালো লাগে কেন মিমি?কী আছে ওর মধ্যে?
মিমিঃবাজে বকো না।ভালো লাগার জন্যে কারও মাঝে কিছু থাকা লাগেনা।এটা মনের ব্যাপার।তোমার মন নাই।তুমি আমার প্রতিবিম্ব।
ইমিমঃআমি তোমার প্রতিবিম্ব না,মিমি।আর মনটাতো তোমারই।শুভ তো একটা বখাটে।তুমি ভালো করেই জানো,আজ এমনিতেই সে পরীক্ষা দিতে যায়নি।তার পড়া হয়নি,অবশ্য কখনই তা হয়না।
মিমিঃভালো কথা।এখন যাও তুমি।
ইমিমঃআচ্ছা,শুভকে আজ তুমি তোমার জামাকাপড় খোলার বর্ণনা দিলে কেন?
মিমিঃআমার ইচ্ছা,দিয়েছি।তোমার কী?
ইমিমঃনা,মিমি।তুমি নিজের ইচ্ছাতে দাওনি।তুমি বাধ্য হয়ে দিয়েছো।
মিমিঃমোটেও না।কে বাধ্য করবে আমাকে?
ইমিমঃশুভর প্রতি তোমার আসক্তি।এটাই তোমাকে বলতে বাধ্য করেছে।তুমি যখন বর্ণনা করছিলে,শুভ তঝন তোমাকে নগ্ন কল্পনা করছিলো।এটা তোমার বঝার কথা।কিন্তু,শুভর প্রতি তোমার প্রবল আসক্তিই সেটা তোমাকে বুঝতে দেয়নি।
মিমিঃউফ্।বন্ধ করো এসব বাজে বকা।তোমাকে যেতে বলে লাভ নাই।আমিই যাচ্ছি।
শুভঃপরীক্ষা কেমন দিলা?
মিমিঃমোটামুটি।তুমি কেমন দিলা?
শুভঃআমি আজ পরীক্ষা দিতে যাইনি।এক ফ্রেন্ডের মা হসপিটালে।উনাকে দেখতে গেছিলাম।কী করছ তুমি?
মিমিঃকিছু না।জামাকাপড় ছাড়ছি।গোসল করে খাবো।
শুভ এই সময় এমন কিছু প্রশ্ন করলো যেগুলোর উত্তর মিমি দিতে পারবে,আমি লিখতে পারবো না।১৫ মিনিট কথা বলার পর মিমি গোসল করতে গেল।গোসল শেষে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গেল।হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে চুল আঁচড়াতে লাগলো।হঠাথ তার গতকালের কথা মনে হলো।কাল রাত্রে সে তার গালে ব্রন দেখেছিলো।কিন্তু সকালে উঠে দেখে,নেই।কিন্তু একি!আজ যে আরও একটা।বেশ বড়সড়।তখনই ইমিমের কণ্ঠ শোনা গেল-
ইমিমঃকী ভাবছো,মিমি?
মিমিঃআবার তুমি?
ইমিমঃহ্যাঁ আমি।কী ভাবছো,বলো না?
মিমিঃআচ্ছা শোনো।কারও সাথে শেয়ার করতে পারছিনা।তোমাকেই বলি।আমার গালে দু’টো ব্রন উঠেছে।আজ সকালেও ছিলো না।এখনই দেখছি।কাল রাতেও দেখেছিলাম।
ইমিমঃব্রন তোমার গালে না,আমার গালে দেখছো তুমি।
মিমিঃআরে হলো।আমি আর তুমিতো একই।
ইমিমঃনা,মিমি।আমি আর তুমি আলাদা।তুমি সুন্দর,আমি অতটা না,বলতে পারো কুথসিত।
মিমিঃআবার,সেই কথা।যাহোক,তুমি কেন এসেছো?
ইমিমঃতোমার সাথে গল্প করতে।
মিমিঃতোমার সাথে আমার কোন গল্প নাই।
ইমিমঃশুভ ছেলেটাকে তোমার এত ভালো লাগে কেন মিমি?কী আছে ওর মধ্যে?
মিমিঃবাজে বকো না।ভালো লাগার জন্যে কারও মাঝে কিছু থাকা লাগেনা।এটা মনের ব্যাপার।তোমার মন নাই।তুমি আমার প্রতিবিম্ব।
ইমিমঃআমি তোমার প্রতিবিম্ব না,মিমি।আর মনটাতো তোমারই।শুভ তো একটা বখাটে।তুমি ভালো করেই জানো,আজ এমনিতেই সে পরীক্ষা দিতে যায়নি।তার পড়া হয়নি,অবশ্য কখনই তা হয়না।
মিমিঃভালো কথা।এখন যাও তুমি।
ইমিমঃআচ্ছা,শুভকে আজ তুমি তোমার জামাকাপড় খোলার বর্ণনা দিলে কেন?
মিমিঃআমার ইচ্ছা,দিয়েছি।তোমার কী?
ইমিমঃনা,মিমি।তুমি নিজের ইচ্ছাতে দাওনি।তুমি বাধ্য হয়ে দিয়েছো।
মিমিঃমোটেও না।কে বাধ্য করবে আমাকে?
ইমিমঃশুভর প্রতি তোমার আসক্তি।এটাই তোমাকে বলতে বাধ্য করেছে।তুমি যখন বর্ণনা করছিলে,শুভ তঝন তোমাকে নগ্ন কল্পনা করছিলো।এটা তোমার বঝার কথা।কিন্তু,শুভর প্রতি তোমার প্রবল আসক্তিই সেটা তোমাকে বুঝতে দেয়নি।
মিমিঃউফ্।বন্ধ করো এসব বাজে বকা।তোমাকে যেতে বলে লাভ নাই।আমিই যাচ্ছি।
৩
কয়েকদিন
পরের কথা।শুভ এখন নিয়মিত মিমির বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করে।শুভর প্রতি মিমির আকর্ষণ
আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।সেদিন প্রাইভেট পড়ে আসার পর শুভর সাথে দেখা।বিকেলবেলা।মিমি
বাড়িতে না ঢুকে একটু গলির ভেতরের দিকে এগিয়ে গেলো শুভকে নিয়ে।তারপর রাশেদের বাসার
পাশে দাঁড়ালো।এই রাশেদকেও মিমি প্রপোজ করেছিলো।তো,এই বাসার পাশে একটা প্রাচীরের
আড়ালে দাঁড়ালো তারা।
শুভঃতোমাকে এই পাড়ার কেউ চেনেনা তো?
মিমিঃনা,কেউ চেনে না।
এরপর কিছু প্রেমালাপ।তারপর কিস্।……….
বাসায় ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো মিমি।এখন,তার গালে তিনটি ব্রন দেখা যাচ্ছে।ওগুলো ফুলে যাচ্ছে।চেহারাতেও হাল্কা কালো আস্তরন পড়েছে।
ইমিমঃকী খবর,মিমি?
মিমিঃমন খারাপ।
ইমিমঃকেন মিমি?মন তো খারাপ হওয়ার কথা না।এখনই প্রিয় মানুষটার সাথে সময় কাটিয়ে আসলে।মন খারাপ কেন?
মিমিঃগালের ব্রন তিনটা নিয়ে চিন্তিত।
ইমিমঃওগুলো তোমার না,আমার।ঐ ব্রন তোমার হলে শুভ আজ তোমাকে কিস্ করতো না।অন্যদিন করতো।ওরা নারীর মন বোঝে না,রূপ বোঝে।
মিমিঃচুপ করো।ভালো লাগছে না শুনতে।
ইমিমঃআমি জানি সেটা।সত্য শুনতে তোম,আর ভালো লাগেনা।আচ্ছা,রাশেদকে প্রপোজের এক মাসের মধ্যেই শুভর সাথে এসব করা কি ঠিক হচ্ছে?
মিমিঃরাশেদ আমাকে ডিনাই করেছে।আমি কী করবো?
ইমিমঃতুমি অপেক্ষা করবে।তার পাশে থাকবে।
মিমিঃআমি থাকতে চেয়েছি।সে আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলতো না।
ইমিমঃকিন্তু এর পেছনে তো কারণও আছে।তুমি রাশেদকে অনেক মিথ্যে বলেছো।নিজেকে বড় করতে ছোট করেছো।ভালোবাসলে যাকে,এত সহলে কীভাবে ভুলে গেলে তাকে?
মিমিঃবাজে কথা ছাড়ো।প্রপোজ করার মানে এই না যে,তাকে আমি ভালোবাসি।
ইমিমঃতাহলে প্রপোজ করার মানে কী?
মিমিঃওটা একটা আবেগ।প্রবল আকর্ষণ।শারীরিক ও মানসিক,দু’টোই।
ইমিমঃশুভ তো তোমাকে প্রপোজ করেছিলো।তার ক্ষেত্রেও কি তাই?
মিমিঃনা,শুভ আমাকে ভালোবাসে।
ইমিমঃকীভাবে বুঝলে?শুধু কথা বলেই,স্টারে খাইয়ে আর কিস্ করলেই কি ভালোবাসা যায়?
মিমিঃউফ্।এত কিছু জানিনা।তুমি যাও।আমাকে একা থাকতে দাও।
ইমিমঃতুমিতো চিরদিনই একা মিমি।আর এভাবে থাকলে সবাই তোমার কাছে আসবে আর যাবে।তুমি একাই থেকে যাবে।
মিমি উঠে গেল।ছাদে গেল।দেখে রাশেদ বই পড়ছে।………..
শুভঃতোমাকে এই পাড়ার কেউ চেনেনা তো?
মিমিঃনা,কেউ চেনে না।
এরপর কিছু প্রেমালাপ।তারপর কিস্।……….
বাসায় ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো মিমি।এখন,তার গালে তিনটি ব্রন দেখা যাচ্ছে।ওগুলো ফুলে যাচ্ছে।চেহারাতেও হাল্কা কালো আস্তরন পড়েছে।
ইমিমঃকী খবর,মিমি?
মিমিঃমন খারাপ।
ইমিমঃকেন মিমি?মন তো খারাপ হওয়ার কথা না।এখনই প্রিয় মানুষটার সাথে সময় কাটিয়ে আসলে।মন খারাপ কেন?
মিমিঃগালের ব্রন তিনটা নিয়ে চিন্তিত।
ইমিমঃওগুলো তোমার না,আমার।ঐ ব্রন তোমার হলে শুভ আজ তোমাকে কিস্ করতো না।অন্যদিন করতো।ওরা নারীর মন বোঝে না,রূপ বোঝে।
মিমিঃচুপ করো।ভালো লাগছে না শুনতে।
ইমিমঃআমি জানি সেটা।সত্য শুনতে তোম,আর ভালো লাগেনা।আচ্ছা,রাশেদকে প্রপোজের এক মাসের মধ্যেই শুভর সাথে এসব করা কি ঠিক হচ্ছে?
মিমিঃরাশেদ আমাকে ডিনাই করেছে।আমি কী করবো?
ইমিমঃতুমি অপেক্ষা করবে।তার পাশে থাকবে।
মিমিঃআমি থাকতে চেয়েছি।সে আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলতো না।
ইমিমঃকিন্তু এর পেছনে তো কারণও আছে।তুমি রাশেদকে অনেক মিথ্যে বলেছো।নিজেকে বড় করতে ছোট করেছো।ভালোবাসলে যাকে,এত সহলে কীভাবে ভুলে গেলে তাকে?
মিমিঃবাজে কথা ছাড়ো।প্রপোজ করার মানে এই না যে,তাকে আমি ভালোবাসি।
ইমিমঃতাহলে প্রপোজ করার মানে কী?
মিমিঃওটা একটা আবেগ।প্রবল আকর্ষণ।শারীরিক ও মানসিক,দু’টোই।
ইমিমঃশুভ তো তোমাকে প্রপোজ করেছিলো।তার ক্ষেত্রেও কি তাই?
মিমিঃনা,শুভ আমাকে ভালোবাসে।
ইমিমঃকীভাবে বুঝলে?শুধু কথা বলেই,স্টারে খাইয়ে আর কিস্ করলেই কি ভালোবাসা যায়?
মিমিঃউফ্।এত কিছু জানিনা।তুমি যাও।আমাকে একা থাকতে দাও।
ইমিমঃতুমিতো চিরদিনই একা মিমি।আর এভাবে থাকলে সবাই তোমার কাছে আসবে আর যাবে।তুমি একাই থেকে যাবে।
মিমি উঠে গেল।ছাদে গেল।দেখে রাশেদ বই পড়ছে।………..
৪
সেদিন
সেমন্তী এসে মিমির কাছে রাশেদের খবর জানতে চায়লো।
মিমিঃরাশেদ একদিন আমাকে প্রপোজ করেছিলো।আমি ডিনাই করার পর থেকে তার সাথে ঠিকমতো কথা হয়নি।
সেমন্তীর কথাতে রাশেদের কথা মনে পড়লো।রাশেদ তাকে ফেসবুকে রিমুভ করেছে।তখনই মিমির মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।সে রাশেদকে ছোট করার ব্যবস্থা করলো।কিন্তু তাতে হিতে বিপরীতই হলো।রাশেদ মেজাজ গরম করে মিমির সব ঘটনা প্রকাশ করে দিলো।মিমি প্রচণ্ড লজ্জা পেলো।সে বুঝতে পারছে,তার ফ্ল্যাটের মিতাও এটা জেনে গেছে।মন খারাপ করে মিমি আবার আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো।আজ ব্রনসংখ্যা আরও বেড়েছে।মিমি যখনই এরকম দেখে তখনই ইমিম আসে।আজও এসেছে।
ইমিমঃমন খারাপ,মিমি?
মিমিঃহ্যাঁ।
ইমিমঃকেন?রাশেদ সব ফাঁস করেছে,তাই?
মিমিঃও একটা আস্ত শয়তান।আমি কীভাবে এরকম একটা ছেলেকে প্রপোজ করলাম?
ইমিমঃতোমার পক্ষে প্রপোজ করাতো খুবি সাধারণ ব্যাপার,মিমি।সেই ক্লাস সিক্স থেকে তুমি প্রপোজ করছো,প্রপোজাল পাচ্ছো।
মিমিঃওসব কথা ছাড়ো।শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
ইমিমঃআর তুমি মিথ্যে বলে রাশেদকে ছোট করতে চাচ্ছিলে কেন?
মিমিঃআমি কখন মিথ্যা বললাম?
ইমিমঃকেন,সেমন্তীকে বল্লে,রাশেদ তোমাকে প্রপোজ করেছে?
মিমিঃএতে অপমানের কী আছে?প্রপোজ করলে কেউ ছোট হবে কেন?
ইমিমঃতাহলে সত্যটা বলতে পারলেনা কেন?কেন বললে না যে,তুমিই রাশেদকে প্রপোজ করেছো আর মিথ্যা বলার জন্যে রাশেদ তোমার সাথে কথা বলে না?
মিমিঃজানি না।
ইমিমঃআর ফেসবুকে ওভাবে ফলাও করে রাশেদকে তোমার অসহ্য লাগে,এটা বোঝাতে গেলে কেন?
মিমিঃআমি আমার ইচ্ছাতে লিখেছি।লিখাটা আমার স্বাধীনতা।
ইমিমঃতা,ঠিক।তবে সত্যটা লিখলেনা কেন?
মিমিঃজানিনা।ওসব লিখতে ইচ্ছা হয়নি।
ইমিমঃজানি।সত্য বলতে তোমার ভালো লাগেনা।
মিমিঃরাশেদ একদিন আমাকে প্রপোজ করেছিলো।আমি ডিনাই করার পর থেকে তার সাথে ঠিকমতো কথা হয়নি।
সেমন্তীর কথাতে রাশেদের কথা মনে পড়লো।রাশেদ তাকে ফেসবুকে রিমুভ করেছে।তখনই মিমির মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।সে রাশেদকে ছোট করার ব্যবস্থা করলো।কিন্তু তাতে হিতে বিপরীতই হলো।রাশেদ মেজাজ গরম করে মিমির সব ঘটনা প্রকাশ করে দিলো।মিমি প্রচণ্ড লজ্জা পেলো।সে বুঝতে পারছে,তার ফ্ল্যাটের মিতাও এটা জেনে গেছে।মন খারাপ করে মিমি আবার আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো।আজ ব্রনসংখ্যা আরও বেড়েছে।মিমি যখনই এরকম দেখে তখনই ইমিম আসে।আজও এসেছে।
ইমিমঃমন খারাপ,মিমি?
মিমিঃহ্যাঁ।
ইমিমঃকেন?রাশেদ সব ফাঁস করেছে,তাই?
মিমিঃও একটা আস্ত শয়তান।আমি কীভাবে এরকম একটা ছেলেকে প্রপোজ করলাম?
ইমিমঃতোমার পক্ষে প্রপোজ করাতো খুবি সাধারণ ব্যাপার,মিমি।সেই ক্লাস সিক্স থেকে তুমি প্রপোজ করছো,প্রপোজাল পাচ্ছো।
মিমিঃওসব কথা ছাড়ো।শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
ইমিমঃআর তুমি মিথ্যে বলে রাশেদকে ছোট করতে চাচ্ছিলে কেন?
মিমিঃআমি কখন মিথ্যা বললাম?
ইমিমঃকেন,সেমন্তীকে বল্লে,রাশেদ তোমাকে প্রপোজ করেছে?
মিমিঃএতে অপমানের কী আছে?প্রপোজ করলে কেউ ছোট হবে কেন?
ইমিমঃতাহলে সত্যটা বলতে পারলেনা কেন?কেন বললে না যে,তুমিই রাশেদকে প্রপোজ করেছো আর মিথ্যা বলার জন্যে রাশেদ তোমার সাথে কথা বলে না?
মিমিঃজানি না।
ইমিমঃআর ফেসবুকে ওভাবে ফলাও করে রাশেদকে তোমার অসহ্য লাগে,এটা বোঝাতে গেলে কেন?
মিমিঃআমি আমার ইচ্ছাতে লিখেছি।লিখাটা আমার স্বাধীনতা।
ইমিমঃতা,ঠিক।তবে সত্যটা লিখলেনা কেন?
মিমিঃজানিনা।ওসব লিখতে ইচ্ছা হয়নি।
ইমিমঃজানি।সত্য বলতে তোমার ভালো লাগেনা।
৫
শুভর
জন্মদিন।বন্ধু বান্ধব মিলে সেলিব্রেট করলো।শুভ বাইক চালাতে পারেনা,সাইকেল চালাতে
পারে।তবে গার্লফ্রেণ্ডকে সাইকেলে চড়িয়ে ঘোরানো ভালো দেখায় না।ওতে রোমান্স নেই।ভাবও
নেই।রোমান্স দেওয়ার জন্যে শুভ অন্য উপায় অবলম্বন করলো।সে মিমকে গোপনে তার
প্ল্যানটা বললো।মিম প্রথমে রাজি না হলেও,পরে রাজি হলো।হোটেলের একটা রুম ভাড়া করলো
তারা।তারপর রুমে গিয়ে………..
সন্ধ্যা প্রায় ৭টা।মিমি বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে কাপড় পরে নিলো।তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।তার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে।জ্বর চলে এসেছে।জীবনে প্রথমবার বলেই হয়তো এরকম হচ্ছে।বাসায় এসে আবার আয়নার সামনে গেল।ইদানিং ইমিমের কথা শুনতে তার ইচ্ছা হয়।খারাপ লাগে,তাও শুনত ইচ্ছা হয়।
ইমিমঃকাঁপছো কেন মিমি?
ইমিমকে দেখে আঁতকে উঠলো মিমি।এ কী চেহারা হয়েছে তার?সমস্ত মুখ ব্রনে ভর্তি।চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে গেছে।আস্তে আস্তে ইমিম তার সমস্ত শরীর মিমির সামনে তুলে ধরলো।গোটা শরীরে পচন ধরতে শুরু করেছে।ত্বক থেকে পুঁজ,রক্ত বের হচ্ছে।
মিমিঃ(কাঁপা স্বরে) একি,ইমিম?এই অবস্থা কেন তোমার?
ইমিমঃআমার কথা ছাড়ো।শুভর সাথে সময় কেমন কাটালে,তাই বলো।
মিমি কিছু বলেনা,মাথা নিচু করে থাকে।
ইমিমঃখুব মজা পেয়েছো তাই না?
মিমি এবারও চুপ।
ইমিমঃস্বামীর অধিকারটুকু দিয়ে দিলে শুভকে?কাজটা কি ঠিক হলো?
মিমিঃশুভ তো আমাকে বিয়ে করবে।সেইতো আমার স্বামী হবে।তাহলে সমস্যা কোথায়?
ইমিম:ভুল কথা।ওরা স্বামিত্ব বোঝেনা।যে শুধু অল্প কদিনের ঘনিষ্টতাই তোমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালো,সে সারাজীবন শুধু তোমার সাথেই থাকবে,অন্য কোন মেয়ের সাথে এসব করবে না,কীভাবে নিশ্চিত হলে?
মিমিঃউফ্।ভালো লাগছেনা শুনতে।আমি তোমার কথা মানিনা,বিশ্বাস করিনা।
ইমিমঃজানি,তুমি সত্য মানতে চাও না।তবে তোমার স্বামী ঐরকমই হওয়া উচিত যে হবে তোমার মতই স্বার্থপর,খারাপ,দুশ্চরিত্রা,মিথ্যাবাদী।
মিমিঃ(রাগের স্বরে)দূর হ সামনে থেকে।কুথসিত ডাইনী কোথাকার।
ইমিমঃআমাকে কুথসিত করেছো তুমি।আমি তোমারই বিবেক।সব খারাপ কাজের আগেই আমি তোমাকে বাধা দিয়েছি।তুমি আমার কথা শোননি।তাই আমি পচতে শুরু করেছি।শীঘ্রই মারা যাবো।তবে একটা কথা বলি,তুমি নষ্ট হয়ে গেছো।আমি মারা যাবার আগেই ভালোর পথে ফিরে এসো।
সন্ধ্যা প্রায় ৭টা।মিমি বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে কাপড় পরে নিলো।তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।তার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে।জ্বর চলে এসেছে।জীবনে প্রথমবার বলেই হয়তো এরকম হচ্ছে।বাসায় এসে আবার আয়নার সামনে গেল।ইদানিং ইমিমের কথা শুনতে তার ইচ্ছা হয়।খারাপ লাগে,তাও শুনত ইচ্ছা হয়।
ইমিমঃকাঁপছো কেন মিমি?
ইমিমকে দেখে আঁতকে উঠলো মিমি।এ কী চেহারা হয়েছে তার?সমস্ত মুখ ব্রনে ভর্তি।চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে গেছে।আস্তে আস্তে ইমিম তার সমস্ত শরীর মিমির সামনে তুলে ধরলো।গোটা শরীরে পচন ধরতে শুরু করেছে।ত্বক থেকে পুঁজ,রক্ত বের হচ্ছে।
মিমিঃ(কাঁপা স্বরে) একি,ইমিম?এই অবস্থা কেন তোমার?
ইমিমঃআমার কথা ছাড়ো।শুভর সাথে সময় কেমন কাটালে,তাই বলো।
মিমি কিছু বলেনা,মাথা নিচু করে থাকে।
ইমিমঃখুব মজা পেয়েছো তাই না?
মিমি এবারও চুপ।
ইমিমঃস্বামীর অধিকারটুকু দিয়ে দিলে শুভকে?কাজটা কি ঠিক হলো?
মিমিঃশুভ তো আমাকে বিয়ে করবে।সেইতো আমার স্বামী হবে।তাহলে সমস্যা কোথায়?
ইমিম:ভুল কথা।ওরা স্বামিত্ব বোঝেনা।যে শুধু অল্প কদিনের ঘনিষ্টতাই তোমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালো,সে সারাজীবন শুধু তোমার সাথেই থাকবে,অন্য কোন মেয়ের সাথে এসব করবে না,কীভাবে নিশ্চিত হলে?
মিমিঃউফ্।ভালো লাগছেনা শুনতে।আমি তোমার কথা মানিনা,বিশ্বাস করিনা।
ইমিমঃজানি,তুমি সত্য মানতে চাও না।তবে তোমার স্বামী ঐরকমই হওয়া উচিত যে হবে তোমার মতই স্বার্থপর,খারাপ,দুশ্চরিত্রা,মিথ্যাবাদী।
মিমিঃ(রাগের স্বরে)দূর হ সামনে থেকে।কুথসিত ডাইনী কোথাকার।
ইমিমঃআমাকে কুথসিত করেছো তুমি।আমি তোমারই বিবেক।সব খারাপ কাজের আগেই আমি তোমাকে বাধা দিয়েছি।তুমি আমার কথা শোননি।তাই আমি পচতে শুরু করেছি।শীঘ্রই মারা যাবো।তবে একটা কথা বলি,তুমি নষ্ট হয়ে গেছো।আমি মারা যাবার আগেই ভালোর পথে ফিরে এসো।
উপসংহারঃইমিম(IMIM) হলো মিমি(MIMI) এর ভেতরের সত্য রূপ,যাকে বিবেক বলি
আমরা।সৃষ্টিকর্তা সব মানুষের ভেতরেই এটা দিয়েছেন।এটার কথা আমাদের শোনা
উচিত।কেননা,বিবেক কখনও মানুষকে ভুল পথ দেখায় না।শয়তান সবসময় চেষ্টা করে বিবেককে
মেরে ফেলতে।কিন্তু এটা রক্ষা করে জীবনে চলার দায়িত্ব আমার,আপনার,আমাদের সবার।
No comments:
Post a Comment